× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মুমিনের ভালোবাসা ও দিবস

হাসান মাহমুদ রাজীব

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৪ পিএম । আপডেটঃ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৯ এএম

মুমিন আরবি শব্দ। এটি মূলত ঈমান শব্দ থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ বিশ্বাসী, ঈমানদার, আস্থাজ্ঞাপনকারী ইত্যাদি। এই দ্বারা একজন খাঁটি অনুগত মুসলমানকে বোঝায়, যে দৃঢভাবে ইসলামকে মনের মধ্যে ধারণ করেছে এবং মহান আল্লাহর কাছে নিজেকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করেছে।

মহান আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা পবিত্র কোরআনের অনেক স্থানে প্রত্যেক মুসলমানকে মুমিন হওয়ার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন। এছাড়া আমাদের প্রিয় নবীও (স.) মুমিনের বিষয়টি গুরুত্বারোপ করেছেন। মহান আল্লাহ ও প্রিয় নবী (স.) মানুষকে মুমিন না হয়ে মৃত্যুবরণ করতে নিষেধ করেছেন। 

একজন লোককে যেসব গুণের কারণে তাকে মুমিন হিসেবে চিহ্নিত করা যায়, সেসব গুণই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আর এসব বৈশিষ্ট্যের কারণেই সাধারণ মুসলমান থেকে মুমিনকে আলাদা করা সম্ভব হয়ে থাকে। ইসলামী পরিভাষায়, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর একত্ববাদে পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহর নির্দেশ মেনে সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে তাকেই মুমিন বলে।

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছেন, প্রকৃত মুমিন তারাই যারা মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনার পর আর সন্দেহে পড়ে না এবং নিজেদের জান ও মাল দিয়ে মহান আল্লাহর পথে জেহাদ করে, এরাই সত্যবাদী।’ (সুরা হুজরাত : আয়াত ১৫)

রাসুল (স.) বলেন, মুমিন সেই ব্যক্তি যে মহান আল্লাহর খুশির জন্য বন্ধুত্ব করে ও দুশমনি করে এবং আল্লাহর খুশির জন্য দান করে ও দান করা বন্ধ রাখে।

মুমিনের ভালোবাসা

মুমিন ব্যক্তি মূলত আল্লাহকেই ভালোবাসে। মানুষের ভালোবাসাও যদি হয় আল্লাহর জন্য তখন স্বয়ং আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন। আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ঈমান পরিপূর্ণতার লক্ষণ। আর আল্লাহকে ভালোবাসার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ করতে হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার নবি (স.)-এর অনুসরণ করো; তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ মার্জনা করবেন।’ (সুরা আলে ইমরান : ৩১)

মানুষের সহজাত প্রেরণা অন্যকে ভালোবাসা। এই ভালোবাসা যদি হয় নিঃস্বার্থ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, তবে এর পুরস্কার অফুরন্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করবেন যারা আমার সন্তুষ্টির জন্য একে অন্যকে ভালোবেসেছিল, তারা কোথায়? আজ আমি তাদের আমার আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দান করব।’ (সহিহ মুসলিম : ২৫৬৬) অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যারা পরস্পরে ভালোবাসার সম্পর্ক রাখে, কেয়ামতের দিন তাদের জন্য নুরের মিম্বর স্থাপন করা হবে। যা দেখে নবি এবং শহীদগণ ঈর্ষা করবেন।’ (তিরমিজি শরিফ : ২৩৯০)

দুনিয়ার জীবনে মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দান করতে আল্লাহ সঙ্গী ও দাম্পত্য সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা তার এ দানের কথা বলেছেন। এটাকে তার বিশেষ নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছন। আল্লাহ বলেন,

আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই সঙ্গীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। (সুরা রুম : ২১)

সুরা নাবার শুরুতে আল্লাহ তাআলা তার অনেক নেয়ামতের সাথে মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করাকেও একটি নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এবং আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়।’ (সুরা নাবা : ৮)

স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা, উত্তম আচরণ ও ইহসান দুনিয়াতে যেমন তাদের শান্তি, স্বস্তি, সুখ ও আনন্দের কারণ হয়, এটা একইসাথে আল্লাহর ইবাদত ও নেক আমলও বটে, এর প্রতিদানও আল্লাহর কাছে পাওয়া যাবে। স্ত্রীর প্রতি সুন্দর আচরণ করার নির্দেশনা দিয়ে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘মুমিনদের মাঝে ঈমানে সেই পরিপূর্ণ, তাদের মাঝে যার চরিত্র সুন্দরতম। তোমাদের মধ্যে উত্তম হলো তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম।’ (সুনানে তিরমিজি)

স্বামীর সন্তুষ্টির গুরুত্ব বর্ণনা করে আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যেকোনো নারী যদি এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে যে তার স্বামী তার ওপর সন্তুষ্ট, তাহলে সে জান্নাতি হবে।’ (সুনানে তিরমিজি)

স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও মুমিনের প্রতি মুমিনের ভালোবাসা গুরুত্ব ইসলামে রয়েছে। ইসলামে পারস্পরিক ভালোবাসা সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব এত বেশি যে, এর ওপর ঈমানের ভিত্তি রাখা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা জান্নাতে যেতে পারবে না যতক্ষণ না ঈমানদার হবে। আর তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের এমন আমলের কথা বলে দেব না, যা করলে তোমাদের পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তা হলো সালামের প্রসার ঘটানো।’ (সহিহ মুসলিম : ৫৪)। 

অন্য একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অন্যকে উপহার দাও। তাহলে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও হৃদ্যতা তৈরি হবে।’ (আদাবুল মুফরাদ : ৫৯৪)

মানবজীবনে ব্যক্তি ভালোবাসার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের শারীরিক-মানসিক সুস্থতার অন্যতম একটি মাধ্যম ভালোবাসার আদান-প্রদান। মানুষের বেঁচে থাকার এই অতি প্রয়োজনীয় আবেগকে শরিয়ত কেবল সমর্থনই করে না বরং এই অনুভূতির যথার্থ প্রয়োগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার মর্যাদা ও পরাক্রমের টানে যারা পরস্পরকে ভালোবাসে, তাদের জন্য আছে আলোর মিম্বার (মঞ্চ)।’

তবে ইসলাম যেকোনো ভালোবাসার বৈধতা নির্ণয়ে কিছু শর্ত আরোপ করেছে। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (স.) নির্ধারিত বৈধতার সীমায় থেকে আন্তরিক ভালোবাসা নিয়ে নিজ, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধনের প্রচেষ্টা। হারাম বা অবৈধ ভালোবাসা বলা হয় মানুষের মনের আগ্রাসী ওই অনুভূতিকে, যা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (স.) নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না।

গাইরে মাহরাম নর-নারীর অবাধ মেলামেশা, দেখা-সাক্ষাৎ ও কথোপকথন সম্পর্কে ইসলামে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে একে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শরিয়তে বেগানা নর-নারীর অবৈধ সম্পর্ক শুরুর ধাপ তথা দৃষ্টি বিনিময় বা অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা থেকেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৩২)

অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন এবং তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিন উদযাপনের অশ্লীলতা ইসলাম ও প্রকৃত মুসলিমের হৃদয় কোনোভাবেই সমর্থন করে না। অন্যদিকে বৈধ ভালোবাসার জন্য কোনো দিবস বা সময় নির্ধারিত নেই। প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তি ইসলামের বিধিবিধান মেনে যেকোনো দিন, যেকোনো সময় ও মুহূর্তে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে। এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণের প্রয়োজন হয় না।

মুমিনের দিবস

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁর বান্দাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। আর তিনিও চান তার বান্দারা তাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন এবং জাগতিক বা পার্থিব সকল ভালোবাসা একমাত্র যেন মহান আল্লাহ তাআলার জন্যই হয়।

মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর মুমিন বান্দাদের পুরস্কারস্বরূপ বছরের দুইটি শ্রেষ্ঠ দিন দিয়েছেন। সেদুটি দিন হলো ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। 

মুসলিমদের জন্যে দুই ঈদ হলো মূলত ইবাদাতের দুই ভরা মৌসুম। ঈদুল ফিতরের আগে রয়েছে বছরের শ্রেষ্ঠ ১০ রাত। আর ঈদুল আযহার আগে রয়েছে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় বছরের শ্রেষ্ঠ ১০ দিন।

ইবন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যার আমল জিলহজ্জ মাসের এই দশ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? রাসুলুল্লাহ বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে যে ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে যুদ্ধে বের হল এবং এর কোনো কিছু নিয়েই ফেরত এলো না (তার কথা ভিন্ন)।’ (বুখারি : ৯৬৯; আবু দাউদ : ২৪৪০; তিরমিযি : ৭৫৭)

রমজান মাস যেমন বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাস তেমনি জিলহজ্জের দশদিন হচ্ছে বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিন। সকল মুফাসসির এ ব্যাপারে একমত যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা কোরআনুল কারিমের সুরা ফাজরে যে ১০ দিনের শপথ করেছেন তা জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিন।  

এছাড়া আরবি চন্দ্র বছরের ১২ মাসের মধ্যে চারটি মাস বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা কোরআন শরীফে বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা বারোটি, যা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী সেই দিন থেকে চালু আছে, যেদিন আল্লাহ তাআলা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান’। (সুরা তাওবাহ : ৩৬)।

এই ৪ মাস হলো- জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। এসব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ, কলহবিবাদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আবার এই ৪ মাসের মধ্যে অন্যতম ‘জিলহজ’ মাস। কারণ জিলহজ মাস হজের মাস। হজের তিনটি মাস শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ। এর মধ্যে প্রধান হলো জিলহজ।

‘জিলকদ’ মাসে ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাত ইবাদত ও আমল না থাকলেও আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত মর্যাদার ৪ মাসের একটি। আল্লাহ তাআলা এ মাসে যে কোনো রক্তপাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ বা বাদানুবাদকে হারাম করেছেন। মুসলিম উম্মাহ মাসটি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করবে। হজ, কোরবানি ও জিলহজের রোজার প্রস্তুতিতে বিশ্রাম নেবে। এটিও ইবাদতের অন্তর্গত।

হিজরি বছরের প্রথম মাস ‘মহররম’। হজরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রস্তাবনায় মহররম মাসকে হিজরি বছরের প্রথম মাস হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। মহররম মাসের ১০ম দিনকে ‘আশুরা’ বলা হয়। এ দিন আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা আলাইহিস সালাম এবং তাঁর জাতিকে ফেরাউনের জুলুম থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এ উপলক্ষে ইসলামের আগমনের আগে থেকেই ইয়াহুদিরাও রোজা রাখতেন।

আশুরার রোজা রাখার ফজিলত অনেক বেশি। এ দিনের রোজা রাখার ফজিলত বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি বিগত এক বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)

আরবি চন্দ্র বছরের সপ্তম মাস ‘রজব’। এ মাসের মর্যাদা উপলব্ধি করতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদত দ্বারা অন্তরের) জমিন চাষাবাদ করল না আর শাবান মাসে (ইবাদতের মাধ্যমে মনের) জমিন আগাছামুক্ত করল না; সে রমজান মাসে (ইবাদতের) ফসল তুলতে পারবে না।’ (বায়হাকি)

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বছরের অন্য কোনো মাসে শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা রাখতে দেখিনি। শাবান মাসে তিনি প্রায় সারা মাসই রোজা রাখতেন। খুব সামান্য কয়েক দিন বাদ যেত।’ (সুনানে তিরমিযি : ৭৩৬)

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাস ব্যতীত আর কোনো সময় পূর্ণ মাসব্যাপী রোজা রাখতেন না এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজাও অন্য কোনো মাসে রাখতেন না। ’ (সহিহ বোখারি : ১৯৬৯)

এসব হাদিসের আলোকে শাবান মাসের কয়েকটি আমল প্রমাণিত হয়। সেগুলো হলো- মনে-প্রাণে অধীর আগ্রহে রমজানের অপেক্ষা করতে থাকা; শাবানের প্রতিদিন চাঁদের তারিখ মনে রাখা, ভুলে না যাওয়া; শাবানের চাঁদের তারিখ হিসাব করে রমজানের অপেক্ষা করা; শাবানের রোজাকে ভালোবাসা; যত বেশি সম্ভব শাবান মাসে রোজা রাখা। তবে ২৭ শাবানের পর আর নফল রোজা রাখা যাবে না। কারণ এর পরের মাসেই পবিত্র রমজান মাসের ফরজ রোজা শুরু।

তাই মুসলিমরা যদি জান্নাতের আশা করে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে চায় তাহলে তারা যেন আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের (স.) দিকে ফিরে আসে। মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরিউক্ত বিষয়সমূহের প্রতি গুরুত্বারোপ করার তাওফিক দান করুন এবং এই মাসসমূহে বেশি বেশি ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। আমিন। 

সম্পাদনা : সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.