জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে প্রকাশিত গবেষণা পত্রের সংখ্যার ভিত্তিতে সেরা ৫ গবেষকের তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী।
স্কোপাস ইনডেক্সভুক্ত জার্নালগুলোতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে বছর শেষে একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। ২০২২ সালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রের উপর ভিত্তি করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
জার্নালে দেখা যায়, এ পর্যন্ত প্রকাশিত মোট গবেষণাপত্রের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪৪টি । বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৫২ বছরে প্রকাশিত মোট গবেষণাপত্রের প্রায় এক তৃতীয়াংশ (৩৩%) প্রকাশ করেছেন ৪ জন শিক্ষক ও ১ জন শিক্ষার্থী।
পাঁচ গবেষকদের মধ্যে রয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এএ মামুন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামীম কায়সার, পাবলিক হেল্থ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. এ মামুন ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শিশির ঘোষ।
তাদের গবেষণাপত্রের সংখ্যা যথাক্রমে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শরীফ এনামুলের ২১৫টি, আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামীম কায়সার ১৫৯টি, পাবলিক হেল্থ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. এ মামুনের ১১১টি এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শিশির ঘোষের ১০৫টি ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে ৪০৯টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত করে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গবেষণাপত্র প্রকাশের তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এএ মামুন। প্লাজমা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবেও পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার।
এছাড়াও বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন এই পাঁচ গবেষকের তিন জন। তারা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এএ মামুন, ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক শামীম কায়সার এবং পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফোরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এ মামুন।
সেরা গবেষকদের তালিকায় থাকা প্রসঙ্গে অধ্যাপক এ এ মামুন বলেন, একজন গবেষক হিসেবে এটি অত্যন্ত আনন্দের খবর। আর বেশি আনন্দ হচ্ছে গতবছরের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়েছে, এমনকি আমাদের একজন শিক্ষার্থীও এতে রয়েছেন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সবার জন্য গবেষণার পরিবেশ তৈরি করে আরো এগিয়ে যেতে চাই।
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এ মামুন শিক্ষার্থীদের জন্যও গবেষণা অনুদান দাবি করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ডিগ্রি দিচ্ছে, আমার এই র্যাংকিং দিয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছুটা হলেও তার প্রতিদান দিতে পেরেছি এটা আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। তবে অনুরোধ যাতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে ছাত্রদের জন্য গবেষণা অনুদান থাকে। তাহলে আমার মত আরও অনেকেই গবেষণা করবে এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবে।
সেরা গবেষকের সাফল্যে আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে গবেষণা একটি নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। গবেষণা করতে আমাদের ভালো লাগে। সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো র্যাংকিংয়ের জন্য আমরা এই গবেষণা অব্যাহত রাখবো।’
© 2023 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh