জন্ম থেকেই দুই হাত, এক পা নেই তামান্না আক্তার নুরার। এক পা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন অদম্য শক্তিতে। ওই এক পা দিয়েই লেখেন তিনি। এই শিক্ষার্থী পিইসি, জেএসসি ও এসএসসির পর এবার এইচএসসি পরীক্ষাতেও জিপি-৫ পেয়েছেন। উচ্চ মাধ্যমিক সর্বোচ্চ ফল অর্জনে কোনো বাঁধাই আটকাতে পারেনি তামান্নাকে।
রোববার দুপুর ১২টায় এইচএসসি ও সমমান ২০২১ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার সাথে সাথে তামান্নার জীবন সংগ্রাম জয়ের খবরও প্রকাশিত হয়।
তামান্না যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে। তামান্নার বাবার নাম রওশন আলী। ময়ের নাম খাদিজা পারভীন শিল্পী। বাবা স্থানীয় ছোট পোদাউলিয়া দাখিল মাদরাসার (নন এমপিও) বিএসসির শিক্ষক। মা গৃহিণী। তিন সন্তানের মধ্যে সে সবার বড়। তামান্নার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বিসিএস ক্যাডার হওয়া।
বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সামছুর রহমান বলেন, তামান্নার মেধা ও প্রচেষ্টার কথা সব কলেজ শিক্ষকরা প্রায়ই আলাপ করে থাকেন। অন্যদের সেই দৃষ্টান্তও স্মরণ করিয়েও দেওয়া হয়। সে জন্মপ্রতিবন্ধী হয়েও নানান প্রতিবন্ধকতা জয় করেছে, দেখিয়ে দিয়েছে সমাজকে।
তিনি আরো বলেন, শুধু পড়াশোনা না, তামান্না ভালো ছবিও আঁকে। এমনকি কম্পিউটার প্রযুক্তিতেও সে দক্ষ। জন্ম থেকেই তার দুটি হাত ও একটা পা নেই। অথচ একটা পা দিয়েই তামান্নার যুদ্ধ চলছে। আমি আশা রাখি সে ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু করবে। তবে তাঁর এখন সবচেয়ে বেশি দরকার সরকারের সহযোগিতা।