এক পা নিয়ে ফজলুর রহমান জীবনযুদ্ধ জয় করে চলেছেন। দুই হাত ও একটি পা ছাড়া তাঁর এগিয়ে চলাকে কোনো বাঁধাই থামাতে পারেনি। এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) জিপিএ ২.৭৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫৬ পেয়ে পাস করেন। 

ফজলু জেলার বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের চরগোপালপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। 

ফজলুর বাবা দিনমজুর সাহেব আলী বলেন, প্রতি দিন দিনমজুরি কাজ করে কোনো রকমে সংসার চলে। এর মধ্যে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জোগানো কষ্ট হয়ে যায়। টাকার অভাবে সন্তানদের প্রাইভেট পড়াতে পারিনি। সঠিক সময়ে বইও কিনে দিতে পারিনি। ফজলুর নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড আছে। তা দিয়েই ওর লেখাপড়ার খরচ চলে। ৯ সদস্যের সংসার আমার এক জনের  উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল।

তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে ৭৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করে দেন মামুন বিশ্বাস। সেই টাকা দিয়েই পড়াশোনা করছে আমার ছেলে। এই টাকাটা না হলে হয়তো আমার ছেলে পড়তেই পারতো না। ছেলের একটি সরকারি হলে অভাব ঘুঁচে যেত।

দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, ফজলু লেখাপড়ায় ভালো, স্মরণ শক্তি প্রখর। তার ফলাফলে আমরা খুশি। তাঁর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা দরকার। এজন্য সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত।

সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, ফজলুর পড়াশোনার ইচ্ছা দেখে এসএসসিতে ফেসবুকের মাধ্যমে ৭৬ হাজার টাকা অনুদান তুলে দিয়েছি। এ টাকা দিয়েই তার এতদিন লেখাপড়া চলেছে। তার পড়াশোনার ইচ্ছা রয়েছে। সাহায্য সহযোগিতা পেলে সে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে।