অদম্য এক মেধাবীর নাম তামান্না আক্তার নূরা। সে যশোরের গর্ব, সারা পৃথিবীতে অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এক পায়ে লিখে তামান্না প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রত্যেকটি পরীক্ষায় অর্জন করেছেন জিপিএ-৫। পা দিয়ে লিখে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। তার অসামান্য সাফল্যে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্বপ্ন পূরণে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সাহস জুগিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার।
এ প্রসঙ্গে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, দুই হাত এক পা নেই। তবুও থেমে থাকেনি তামান্না। সাধারণ পরিবারের মেয়ে হয়েও প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে প্রত্যেকটি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সারা পৃথিবীতে সে অনুকরণীয়। সে যশোরের গর্ব।
তিনি বলেন, শুনেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে তার খোঁজখবর নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতার পাশাপাশি জেলা প্রশাসন তার অভিভাবক হিসেবে পাশে থাকবে যে কোনো প্রয়োজনে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করেছে। তার আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রে একটি আবেদন দিতে। সেটি তামান্নার পরিবারকে জানানো হয়েছে।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা। জন্ম থেকেই দুটি হাত, একটি পা নেই তার। এক পায়ে লিখেই প্রত্যেকটি পাবলিক পরীক্ষা পিইসি, জেএসসি, এসএসসিতে অর্জন করেছেন জিপিএ-৫।
সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারের (২০২১) এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন তিনি। গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সর্বশেষ সোমবার প্রধানমন্ত্রী ফোন করে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।