বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে হল প্রশাসন। অভিযানে বিভিন্ন রুম থেকে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণে মাদক। এসময় অবৈধভাবে দখলকৃত রুম সিলগালা এবং অবৈধ ক্যান্টিনের গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দিয়েছে হল প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের ৩০২, ৩০৪, ৩০৯, ৪০১ ও ৪০৫ নং রুম অবৈধভাবে জবরদখল করে রাখায় দখলকারীদের বের করে রুম সীলগালা করা হয়। এছাড়াও ৩০৯ নং রুমে ৪২ তম ব্যাচের তাপশ কুমার এবং ৫০৫ নং রুমে ৪৩ তম ব্যাচের রাকিবুল হাসানের কাছে বিপুল পরিমাণে মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। মাদকের ভেতরে বিদেশি মদের বোতল, গাঁজা অন্যতম।
নজরুল হল পরিদর্শন প্রসঙ্গে সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের সহকারী প্রভোস্ট রুবেল খান বলেন, হলে মাদক ও অবৈধ রুম দখল নিয়ে অভিযোগর ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাই। এতে ৩০৯ ও ৫০৫ নং রুমে বিপুল পরিমানে মাদক উদ্ধার সহ অবৈধভাবে দখল করা রুমে সিলগালা করা হয়।" "এছাড়াও হলের শৃঙ্খলা রক্ষায় এমন অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সেইসাথে ৩০১নং রুমে কৌশিক বাড়ৈ নামক এক শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে বলেন , সে একবছর আগে এলোটমেন্ট বাতিল করার পরও রুমে অবস্থান করছে। তাদের ব্যপারেও খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রোক্টরিয়াল বডির অন্যতম ড. মোঃ সাইদুজ্জামান বলেন, মূলত দুটি উদ্দেশ্যে হল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত ছাত্রদের হলে অবস্থান এবং বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সাপেক্ষে হলে মাদক সেবনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের দুটি রুমে মাদক প্রাপ্তির ঘটনায় রুম সীলগালা করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস প্রক্টরিয়াল বডিকে জানানো হয়েছে এবং তারাই যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। তাছাড়া হলে অবস্থানরত ৪২, ৪৩ এবং তদূর্ধ্ব ব্যাচের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
পাশাপাশি অবৈধ ক্যান্টিন বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পরও তা চলমান রাখায় ক্যান্টিনের গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলে অভিযানে অবৈধ ক্যান্টিন উচ্ছেদ সহ তদস্থলে নতুন ক্যান্টিন নির্মাণের কাজ ও চলমান।