× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পেটের দায়ে পুড়ছে যারা

নূর ই আলম, ইবি প্রতিনিধি

৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৭ পিএম

‘হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান

তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান,

কন্টক-মুকুট শোভা।-দিয়াছ,তাপস,

অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস।

তীব্র তাপদাহে সারাদেশের মতো কুষ্টিয়ায়ও জারি রয়েছে হিট এলার্ট। জেলায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে যাচ্ছে। তীব্র রোদ, গা জ্বলা গরম বাতাস সব মিলিয়ে বিভীষিকাময় এক পরিস্থিতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস জুড়ে। এসবের মাঝেও নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ শ্রমিকেরা। রোদের তীব্র উত্তাপেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেখানে বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছে সেখানে তারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে এক পা পিছু হটছেন না।

জানা যায়, চার বছর মেয়াদী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের অংশ হিসেবে এর আগে বিভিন্ন মেয়াদে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ৫২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে। আগামী ৮ মাসে অবশিষ্ট ৪৮ শতাংশ কাজ শেষ করতে হবে বলে এখন বিরতিহীন কাজ করতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ২টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহের মধ্যে থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। কেও কাজ করছে তো কেও এসে ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। এভাবেই পর্যায়ক্রমিক নিজেদের সহায়তা করার মধ্য দিয়ে তারা বিল্ডিংয়ের কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

এজন্যই কবি কাজী নজরুল তার দারিদ্র্য কবিতায় বলেছিলেন,

"হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান

তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান,

কন্টক-মুকুট শোভা।-দিয়াছ,তাপস,

অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস। 

এ বিষয়ে কথা হয় একাধিক নির্মাণ শ্রমিক ও তাদের দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট ইনচার্জ অফিসারের সাথে। তারা তাদের অভিমত তুলে ধরেন সংবাদ সারাবেলার কাছে।

নির্মাণ শ্রমিক সাইদুর রহমান বলেন, রোদের তাপ তো মামা খারাপ ই লাগে। কিন্তু পেটের দায়ে তো আর ছেড়ে দেয়া যায় না। তাও আমরা চেষ্টা করি রেস্ট নিয়ে নিয়ে কাজ করতেছি। আমাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার পানি এবং খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। এক ঘন্টা পর পর আমরা বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজ শুরু করি।

অন্য একজন নির্মাণ শ্রমিক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এই ৯ তলা উপরে আমাদের দিনে ১০ বার উপরে উঠানামা করা লাগে। এখন এগুলো আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে আমরা যাই করি মামা শরীর বাঁচিয়ে নিয়েও করতেছি। আমাদের শরীর ঠিক থাকলেই আমাদের কাজ করতে পারবো। আর কাজ করলে আমার পরিবার চলবে। তাই আমরা পর্যাপ্ত তরল খাবার গ্রহণের পাশাপাশি বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে কাজ করতেছি। আমাদের অফিসারেরাও আমাদের যথেষ্ট দেখাশুনা করছেন।

এ বিষয়ে প্রজেক্ট দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট ইনচার্জ অফিসার উবাইদুর রহমান বলেন, শ্রমিক বাঁচলে আমাদের বিল্ডিং এর কাজ সঠিকভাবে চলবে। এখন আমরা যদি ওদেরকে এই তীব্র গরমে বেশী প্রেশার দিয়ে ফেলি তবে তা অমানবিক হবে। আমরা তাদের প্রতি যথেষ্ট মানবিক।

তিনি আরও বলেন, তবে আমরা শ্রমিকদের অফার দিয়েছিলাম যেনো এই গরমে নাইটে কাজ করে। তবে তারা সেটি মানছে না। তাই দিনের বেলায় এই তাপে যতটুকু কাজ তাদের সহ্যের মধ্যে থাকে ততটুকুই করতে বলেছি। তাদেরকে খাবার সেলাইন, ফার্স্ট এইড, প্রাথমিক চিকিৎসা সহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.