জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কুরআনের অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও হিফজ সংবর্ধনা আয়োজিত হয়েছে৷ এ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
সোমবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ী ও হাফেজ শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন আয়োজকরা৷
অনুষ্ঠানে আলোকিত জ্ঞান রিয়েলিটি শো’র উপস্থাপক মুফতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আজকের আমাদের দেশের প্রতিটি স্তরে স্তরে দুর্নীতির বেড়াজা ছেঁয়ে গেছে। আমরা কুরআন থেকে সরে গেছি, এটাই আমাদের পতনের জন্য যথেষ্ট। আজকে যদি আমরা কুরআনের জ্ঞানে আলোকিত হতে পারতাম তাহলে দুর্নীতি আমাদের এভাবে গায়েল করে ফেলতে পারতো না৷
পবিত্র কুরআন অনুবাদ পাঠের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের জাগতিক এ জ্ঞানের সাথে ওহি জ্ঞানের সংযুক্তি না থাকলে এ জ্ঞান মানবজাতির কোনো কল্যাণে আসে না। এগুলো কেবল ব্যাক্তিকেন্দ্রিক জ্ঞান। পবিত্র কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন ‘একজন চক্ষুষ্মান লোক আর একজন অন্ধ ব্যক্তি কখনো সমান হতে পারে না; আর না আঁধার ও আলো সমান হতে পারে’।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবির বলেন, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে কুরআন এবং হাদিসের অপব্যাখ্যা যেন কেউ না করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যেন এটাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ব্যবহার না করি। তাহলে কুরআনের অনুবাদ এবং পাঠ আমাদের জীবনের সাথে মিলে যাবে।
বক্তব্যে কুরআন অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর উপদেষ্টা অধ্যাপক এম. মেসবাহউদ্দিন বলেন, আজকের এই কুরআনের প্রোগ্রাম সত্যিই বাহবা পাওয়ার মত। প্রোগ্রামে যে শিক্ষার্থীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। এরকম প্রোগ্রাম আমরা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। আর কুরআনের সত্যিকারের যে বাণী তা মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করব।
এসময় গনিত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাফায়েত মীর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর নিয়ে অনেকের নেগেটিভ ধারণা পোষণ করেন। আমরা যখন হাফেজ সংবর্ধনা প্রোগ্রামের আয়োজন করছিলাম তখন অনেকে বলেছিলো এ ক্যাম্পাসেও হাফেজ আছে নাকি? কিন্তু এখন আমরা আমাদের ক্যাম্পাস নিয়ে গর্বিত। ইনশাল্লাহ এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।