সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনে কর্মকর্তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কর্মবিরতিতে থাকা কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত আছে বলে দাবি করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় দিনের মতো সর্বাত্বক আন্দোলনের কর্মসূচি চলছে। অবস্থান ধর্মঘট ও কর্ম বিরতির কারণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে বরিশাল বিশ্বিবিদ্যালয়ের একাডেমিক সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সুপার গ্রেডে লয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালুর দাবি জানানো হয়।
তবে শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা বিপাকে পড়েছেন। অবিলম্বে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুতি সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করা হবে।