ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর সোমবার রাতে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলে হলে মারধরের ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালেও ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের আতঙ্কে হল ছাড়ার চিত্র দেখা যায়।
কবি জসীমউদ্দীন হল, বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলসহ প্রায় সব হল থেকেই হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা।
রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সকাল থেকে আমার রুম ও পাশের রুম থেকে সব শিক্ষার্থী আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে। আমিও কিছু সময় পর চলে যাব। বাসা থেকে বাবা-মা অনেক ফোন দিচ্ছেন। ওনারা চিন্তা করছেন, আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে। এজন্য কুষ্টিয়া গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি। ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক হলে ফিরবো।
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে এবং ছাত্রলীগের এ ধরনের হুমকি-হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাইক নিয়ে প্রতিটি হলের মাঠে গিয়ে ‘কারো রাজনৈতিক চালের বলি না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।’
তাদের বলতে শোনা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা, আপনারা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ আপনাদের হাতে। আপনারা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল ৪টা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ভিসি চত্বরে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এছাড়া কিছু নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে পাহারা দেওয়ার মতো করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে সোয়া দুইশ’র বেশি জন আহত হয়েছেন। ২২৬ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।