ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৯ জন শিক্ষকের ছবি ও নামে বিতর্কিত ব্যানার করে তাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করে মধ্যরাতে ব্যানার টানানো হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা ব্যানার নামিয়ে তা একসাথে করে পুড়িয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, প্রশাসন ভবন এবং আবাসিক হলের সামনে থেকে এসব ব্যানার নামিয়ে নেন সমন্বয়কদের একাংশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসন ভবন, পাঁচটি একাডেমিক ভবন এবং ৭ টি হলের সামনে ব্যানার টানানো ছিলো। পরবর্তীতে সমন্বয়করা বিষয়টি অবগত হলে সাথে সাথে তা নামিয়ে নেয়। এরপর তারা এসব ব্যানার মেইন গেইটে নিয়ে একত্রিত করে আগুনে জ্বালিয়ে দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, কে বা কারা এই কাজটা করেছে সে সম্পর্কে সমন্বয়ক পরিষদ অবগত না। এটা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। স্বার্থান্বেষী মহল যে এই কাজ করেছে তা নিশ্চিত। কয়েকজন শিক্ষক যারা অনলাইনে অফলাইনে আমাদের সাথে যুক্ত ছিল খোঁজখবর নিয়েছে, তাদেরকেও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব ব্যানারের মাধ্যমে শিক্ষকদের অবশ্যই অবমাননা করা হয়েছে।
কোন কোন শিক্ষককে অবমাননা বা লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে মনে করেন - এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে সে মোতাবেক ইংরেজি বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন স্যার অনলাইনে আমাদের সাথে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিয়েছেন। এছাড়া মিঠুন বৈরাগী স্যারের ব্যাপারেও আপত্তি এসেছে। পাশাপাশি জার্নালিজম বিভাগের তন্ময় স্যারের ব্যাপারে স্যারের শিক্ষার্থীরা ব্যানার থেকে তার নাম কেটে দিচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেহেতু শিক্ষকদের পক্ষে আছে সেক্ষেত্রে এটা অবশ্যই বিবেচনার বিষয়।