বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি দেখতে চাই বাকৃবির শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা নিবে না। তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো শিক্ষা ও উপার্জনের (লার্ন এন্ড আর্ন) ওপর ভিত্তি করে। শিক্ষার্থীরা এখানে পড়বে, শিখবে এবং কাজের মাধ্যমে টাকা আয় করে খরচ চালাবে, বাসায় থেকে টাকা নেওয়া লাগবে না। এই উদ্দেশ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমরা সেই জায়গা থেকে সরে গিয়েছি। আমরা আবার সেই জায়গায় ফিরে যেতে চাই।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ.কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার সাথে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৪ এর সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপাচার্যের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকেরা সমাজের দর্পন। তাদের কলমের মাধ্যমে সমাজের ভালো-খারাপ সবকিছু উঠে আসে। এভাবে তারা জাতিকে সঠিক পথ দেখায়। তেমনিভাবে তোমরা আমার নেতিবাচক যেকোনো বিষয়ে সমালোচনা করবে এবং যে কোনো বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করবে। সাংবাদিক সমিতি নিরপেক্ষভাবে বাকৃবির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে সেই আশা রাখছি। তোমরা পড়াশোনার পাশাপাশি একটি মহৎ কাজ করে চলেছো, যার প্রতিদান অবশ্যই পাবে।
মতবিনিময় সভার শুরুতে উপাচার্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য এই গণঅভ্যুত্থান অপরিহার্য ছিল এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাচার বা অনৈতিক কাজ পুনরায় যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। মতবিনিময় শেষে উপাচার্যকে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির ৬০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা হীরক প্রদান করা হয়।
বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. রাফী উল্লাহ ফুয়াদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. তানিউল করিম জীমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফজলুল হক ভূঁইয়া, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো শহীদুল হক এবং বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।