গত মঙ্গলবার
(২৪ সেপ্টেম্বর) ও বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)
শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে ক্লাস-পরীক্ষা
বর্জন করেন। তারা ক্লাস-পরীক্ষায় কবে ফিরবেন, সে বিষয়ে আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) বুয়েট প্রশাসনের
সঙ্গে আলোচনায় বসবেন শিক্ষার্থীরা।
বুয়েটের
১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ডাকে মঙ্গলবার(২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শুরু করেন বুয়েটের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
সে দিন বিকেলে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করে। তাদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের হলের আসন বাতিল করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের দেওয়া অভিযোগের তালিকায় যে ৫৫ জনের
নাম ছিল, তার বাইরেও বেশ কয়েকজনের আসন বাতিল করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা
জানিয়েছেন।
বুয়েটের
একদল শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ দেখতে চাইছেন। যথাযথ ব্যবস্থা বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে,
জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থী বুয়েটে
২০১৯ সালে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তির কথা বললেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়েছিল, ‘বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী অনুমোদিত ক্লাব-সোসাইটি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল বা এর
অঙ্গসংগঠনের অথবা অন্য কোনো সংগঠনের সদস্য হতে বা তার কার্যক্রমে
অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের নিয়মগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং এগুলো অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ বুয়েট প্রশাসনে থাকা এক শিক্ষক জানিয়েছেন,
ছাত্ররাজনীতিতে সম্পৃক্ত হলে ছাত্রত্ব বাতিল পর্যন্ত হতে পারে।
সার্বিক
বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক
বলেন, ‘শনিবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পর সামগ্রিক বিষয়ে
সিদ্ধান্ত হবে। আলোচনায় ঠিক হবে, তারা কবে ক্লাসে ফিরবেন। শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুতই ক্লাসে ফিরবেন বলে আমরা আশা করছি।’