আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর পথিকৃৎ অ্যাডা লাভলেস (১৮১৫-১৮৫২) এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রেসিডেন্সী ইউনিভার্সিটি আজ মঙ্গলবার অনন্যভাবে উদযাপন করলো অ্যাডা লাভলেস ডে ২০২৪ (Ada Lovelace Day 2024)। এজন্য ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল আয়োজন করেছে একাধিক প্রযুক্তি-নির্ভর প্রতিযোগিতা, যেমন- প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, সার্কিট ডিজাইন কনটেস্ট, টেক কুইজ এবং রিসার্চ পোস্টার প্রেজেন্টেশন। এই প্রতিযোগিতাগুলো কেবলমাত্র নিছক প্রতিযোগিতার মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল না।
এগুলো ছিল সৃজনশীলতার ঝলক, উদ্ভাবনী চিন্তার উজ্জ্বল প্রদর্শনী, এবং প্রযুক্তির অসীম সম্ভাবনার এক চমৎকার উদযাপন। সবগুলি ইভেন্টই প্রেসিডেন্সী ইউনিভার্সিটির সকল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিলো।
আজ প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে আনন্দমাখা নবীনমুখের মেলা। প্রতিটি সার্কিটের নকশা, প্রতিটি কোডের লাইন যেন আদা লাভলেসের অমর কৌতূহল ও লড়াইয়ের গল্পকে নতুন করে বুনে যাচ্ছিল। আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রতিযোগীদের প্রেরণা জুগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার ছিল প্রযুক্তির জগতে নতুন কিছু সৃষ্টি করার এবং একই সাথে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরার এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
এসকল প্রতিযোগিতার অন্যতম প্রতিপাদ্য ছিল- পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব বিনির্মাণে যথাযথ ভুমিকা পালন করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির তরুণ প্রযুক্তি প্রেমীরা আজ যেভাবে স্বপ্ন দেখছে, মেধা ও মননের মাধ্যমে প্রচলিত গন্ডি অতিক্রম করছে - তা অচিরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে! সকল ইভেন্টের শেষে ছিল বহুল প্রত্যাশিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান যেখানে বিজয়ীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এ. এইচ. এম. ফারুক, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার প্রফেসর ডঃ মোহাম্মাদ আনোয়ারুল কবির, সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ডীন প্রফেসর ডঃ শহিদুল ইসলাম খান (নাঈম)। এছাড়াও বিজনেস স্কুলের ডীন প্রফেসর আবুল কালাম, রেজিস্ট্রার জনাব সাকির হোসেন, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের হেড ও শিক্ষকমণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন।