পাহাড়ের মাটিতে বেড়ে উঠা এক শিক্ষকের ছেলে একেএম জুনাইদ। মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় উপজেলার মধ্যে একমাত্র জিপিএ-৫ পাবার গৌরব অর্জন করেছে। জুনাইদ, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা একই উপজেলার তবলছড়ি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। জুনাইদ তার তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়।
জানা যায়, সে মাটিরাঙ্গা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পায়। এরই ধারাবাহিকতায় মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি তে একই বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখে সে। প্রত্যেক সফল ব্যাক্তির সফলতা হবার পেছনে একটি গল্প লুকিয়ে থাকে। জুনাইদের সফলতার নেপথ্যে তার বাবাই তাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের হলেও অভাববোধ করেনি সে। বড় হয়ে সে ইঞ্জিনিয়ার হবার আশা থাকলেও তার বাবার শখ ছিল মেডিকেলে পড়াবে।
ভাগ্য কে বিশ্বাস করে জুনাইদ বলেন, যাই হই না কেনো ভাল মানুষ হবার শপথ আমার। তার সফলতার পেছনে তার মা-শিক্ষক, বন্ধুদের অবদানও কম নয়। ভাল কিছু করার জন্য সকলের দোয়া চান জোনাইদ।
সৎভাবে বেঁচে থাকার আশা প্রকাশ করে জুনাইদ বলেন, বড় হয়ে যেটাই করিনা কেনো হালাল রুজি করার চেষ্টা করবে সে। দেশের সেবায় ব্রত হয়ে নিজেক বিলিয়ে দিয়ে একজন ভাল মানুষ হয়ে মা-বাবা, শিক্ষকের মুখ উজ্জ্বল করার আশা ব্যাক্ত করে সে।
জুনাইদের বাবা রিয়াজুল হক বলেন, জুনাইদ মা-বাবা ও শিক্ষকের অনুগত ছেলে তাছাড়া তার চেষ্টা ছিল বলেই বার বার সফলতা অর্জন করেছে। সে বিনয়ী, বড় হয়ে দেশের জন্য ভাল কিছু করবে এমনটা আশা করি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো: শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি তে পুরো উপজেলায় জুনাইদ নামে একটি ছেলে জিপিএ৫ পায়। ছেলেটির উজজ¦ল ভবিষ্যৎ জীবন কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, মাটিরাঙ্গায় এবার এইচএসসি তে শতকরা পাশের হার ৬৪.৮২। আলিম পরিক্ষায় পাশের হার ৯৭.৬১।