ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ, ইবি ছাত্রদল ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। দিবসটি উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্ট্যাডিজ অনুষদের সামনে থেকে র্যালি শুরু করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার সহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমবেত হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আলীনুর রহমান, অধ্যাপক ড. নুরুন্নাহার, অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. গফুর গাজী, শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন সহ অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
র্যালিতে তাদের জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো; ছিঃ ছিঃ হাসিনা, লজ্জায় বাঁচিনা; ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই; আজকের এই দিনে জিয়া তোমায় মনে পড়ে; জাতীয়বাদী ছাত্রদল, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ব্রিগেডিয়ার খালেদেরা আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে শহীদ জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে চেয়েছিলো? অবশ্যই নয়। তাদের কিন্তু বড় পরিকল্পনা ছিলো তাকে হত্যা করা এবং সেই হত্যার পেছনে কিন্তু অন্যদের মদদ ছিলো কিন্তু সেটা রুখে দিয়েছিলো ততকালীন সিপাহী জনতা। আমাদের দাবি যদি এখানে বাস্তবায়ন না হয় সেক্ষেত্রে আমাদেরও কিন্তু ছাত্রদল আছে তারা দেখিয়ে দিবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অত্যান্ত শ্রদ্ধার সাথে জানাই আমাদের দেশের ছাত্র জনতা এই অপকর্ম রুখে দিয়েছে এবং তারা একটি নতুন স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে এসেছে। আমাদের কাছে উপস্থাপন যেটি করা হচ্ছে এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা কিন্তু আমার এটা মানিনা আমরা মনে করি এটি আমাদের তৃতীয় স্বাধীনতা, প্রথম স্বাধীনতার অগ্রনায়ক ছিলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হলো ৭৫ এর ৭ নভেম্বর সেটিও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অর্থাৎ তৃতীয় স্বাধীনতা হলো এটি। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে যে বিজয় অর্জন হয়েছে সেই বিজয়ের দিকে যদি তাকাই ৪২৬ জন আমাদের ছাত্রদল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক রক্ত দিয়েছে, এতো রক্ত কিন্তু অন্য কোন একটা দল দেয় নি। তাহলে অবশ্যই এই বিপ্লব আমাদের, এই অর্জন আমাদের।