ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রমে কোটার যৌক্তিক সংস্করণ ও কিছু ক্ষেত্রে তা সিথিলকরণের পাঁচ দাবি নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ (২৯ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বরাবর ৫ দাবি সমেত স্মারকলিপি প্রদান করে।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ১০২০ টি। এবার স্নাতক ১ম বর্ষ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দুই ধাপে কোটায় ভর্তি হয়েছেন ৯০ ও ২৮ মোট ১১৮ জন শিক্ষার্থী। যা মোট শিক্ষার্থী সংখ্যার ১১.৫৭ শতাংশ।
মেধার বিপরিতে মোট আসনের প্রায় ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী কোটায় ভর্তি হওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না বিশিষ্টজনেরা। এই বৈষম্য দ্রুত দূর করতে শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি নিয়ে স্মারকলিপি প্রদান।
শিক্ষার্থীদের দাবীসমূহ:
১. মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা সম্পূর্ণরূপে বাদ দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার পুত্র বা কন্যা কোটা প্রতি বিভাগের আসন সংখ্যার বিপরীতে শতকরা ৫ ভাগে নামিয়ে আনতে হবে।
২. পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে।
৩. ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা প্রতি বিভাগের আসন সংখ্যার বিপরীতে শতকরা ২ ভাগে নামিয়ে আনতে হবে।
৪. সকল প্রকার কোটার ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার পাশ মার্ক কোনক্রমেই শিথিল যোগ্য করা যাবে না।
৫. খেলোয়ার কোটা (জাতীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন) প্রতি বিভাগের মোট আসন সংখ্যার বিপরীতে শতকরা ১ ভাগ বরাদ্দ দিতে হবে।