ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হলের একটি বুথে আগে থেকেই পূরণ করা একটি ব্যালট পেপার ভোটারকে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই পেপারটি ছিলো হল সংসদের। এ ঘটনার পর দায়িত্বরত পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পোলিং অফিসারের নাম জিয়াউর রহমান। তিনি বলেছেন, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
একুশে হলের ছাত্রদের জন্য ভোট কেন্দ্রটি কার্জন হলের দোতলায়। পূরণকৃত ব্যালট সরবরাহের ঘটনা শোনার পর কেন্দ্র পরিদর্শনে যান রিটার্নিং কর্মকর্তা। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তিনি তাৎক্ষণিক জিয়াউর রহমানকে প্রত্যাহার করেন।
পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহারের বিষয়টি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর। এজনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদ বলেন, ‘বুথে একজন ভোটারকে মোট ছয়টি ব্যালট পেপার দেয়া হয়। এর মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্রীয় সংসদ ও একটি হল সংসদের। অমর একুশে হলের বুথে এক ভোটারকে ভুল করে সাতটি ব্যালট পেপার দেয়া হয়েছিলো।
ফররুখ মাহমুদ বলেন, ‘ওই ভোটার সবগুলো ব্যালটই পূরণ করেন। জমা দেয়ার সময় দেখতে পান হল সংসদের জন্য তার কাছে অতিরিক্ত একটি ব্যালট পেপার আছে। তখন তিনি বাড়তি ব্যালটটি পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানের কাছে ফেরত দেন। পোলিং অফিসার পূরণকৃত ওই বাড়তি ব্যালট আলাদা না করে অন্যান্য ফাঁকা ব্যালটের সঙ্গে রেখেছিলেন। পরে অসাবধানতাবশত পূরণকৃত ব্যালটটি আরেক নতুন ভোটারকে দেন। নতুন ওই ভোটার ব্যালট আগে থেকেই পূরণ থাকার বিষয়টি দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বরতদের জানান। পরে তাকে আরেকটি ফাঁকা ব্যালট পেপার দেয়া হয়।’
ফররুখ মাহমুদ বলেন, ‘যেহেতু একটি অভিযোগ উঠেছে তাই রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করেছেন।’