দীর্ঘ ৩৩ বছর পর বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ ।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ এবং জিএস পদে লড়ছেন ৮ জন। তবে শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর চেম্বার আদালতে ওই রায় স্থগিত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়।
এরইমধ্যে জাকসু নির্বাচনে প্রচারণা শেষ হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসও উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনও প্রস্তুত।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ আবাসিক হলের প্রতিটিতেই ভোটকেন্দ্র থাকছে। এরমধ্যে ১১টিতে ছাত্র ও ১০টিতে ছাত্রীরা ভোট দেবেন। মোট ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। পোলিং অফিসার ও সহকারী মিলিয়ে ১৩৪ জন ভোটের দায়িত্বে থাকবেন।
নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর শিক্ষার্থীরা, একজন প্রার্থী কতটুকু কাজ করতে পারবেন। সেটি বিবেচনায় নিয়েই ভোট দেব। আরেকজন বলেন, প্রার্থী বাছাই করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে প্রাধান্য দিব। কোন প্যানেল থেকে দাঁড়িয়েছে সেটি বিবেচনায় নেব না।
এদিকে, ভোটের নিরাপত্তায় অন্তত ১২০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটেই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্টার ভবনের সিনেট হলে ভোট গণনা হবে। ছাত্রী ভোটকেন্দ্রগুলোতে নারী গণমাধ্যমকর্মী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।