জাবির কাউন্সিল রুমে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে (জাবি) একটি আন্তজার্তিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দিতে শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থীসহ সকল অংশীজনদের নিয়ে সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম।
এ জন্য তিনি ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশের পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণসহ সব ক্যাটাগরিতে নির্বাচনের আয়োজনসহ স্বচ্ছতা আনায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারি নিয়োগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল রুমে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম এসব প্রতিশ্রুতি দেন।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়েকে এগিয়ে নিতে নির্বাচিত ও অনির্বাচিত পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করার কথাও বলেছেন উপাচার্য।
রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট ক্যাটগরিতে সিনেটর সংখ্যা ২৫ জন। উপাচার্যের সাথে এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ২৩ জন সদস্য। তাদের মধ্যে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরিফ এনামুল কবীরও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার ও গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে উপাচার্য ব্যক্তিগত অর্থায়নে উপস্থিত সকলকে দুপুর খাবার পরিবেশন করেন।
এসব বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট সিনেটরদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করেনি। তাই আমি নিজ উদ্যোগে তাদেরকে চায়ের টেবিলে আলোচনার দাওয়াত দিয়েছিলাম। এটা যেহেতু অফিসিয়াল মিটিং ছিল না তাই আমি সকলকে ব্যক্তি উদ্যোগে আপ্যায়ন করেছি।’
আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, ‘সরকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে চায়। তার জন্য এখানকার পরিবেশও পর্যন্ত। এখন দরকার এই পরিবেশটাকে কাজে লাগানো। আমি সেটাই চেষ্টা করে যাচ্ছি, যেন আমাদের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সরকারের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো যায়। সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আমি সিনেটরদের কাছেও সেই সহযোগিতার আহবান জানিয়েছি।’
সিনেট সদস্য সূত্রে জানা যায়, আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অসঙ্গতি, অব্যবস্থাপনা ও এর প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে, কিভাবে সেশন জট দূর করা যায়, ডাইনিংয়ের খাবার মান বাড়িয়ে বাহিরের খাবারের প্রতি নির্ভরতা কমানো, নির্মাণাধীন ৬টি হলের নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা , সব হলের প্রভোস্টদের কোয়াটারে থাকা নিশ্চিত করা, ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব না রেখে নির্বাচন ও ১৯৭৩’র অধ্যাদেশ মোতাবেক নিয়োগ নিশ্চিত করা সহ সর্বপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত ও সহযোগিতা কামনার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম ব্যাচের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সিনেট সদস্য শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে যেসব বিষয়ে আলোচনা ও পরামর্শ নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান ভিসি যিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক শিক্ষার্থী-তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করেন তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো আজকের এই আলোচনা সভার আয়োজন।’
যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো যদি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান-মর্যাদা ফিরিয়ে এনে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সম্ভবপর হবে বলেও মনে করেন এই সিনেট সদস্য।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh