দেশে-বিদেশে
মিডিয়া জগত থেকে রাজনীতিতে আসার প্র্যাকটিসটা বহুকাল ধরেই হয়ে আসছে। অভিনেতা, অভিনেত্রী,
নির্মাতা থেকে কেউ কেউ বনে যান এমপি, মন্ত্রী অথবা উপদেষ্টা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সেক্টরে চলছে রাজনৈতিক পালাবদল।
সেই পালাবদলের হাওয়ায় জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী এখন অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা।

দেশের তারকাদের
মাঝে ফারুকীর এই নতুন যাত্রা নিয়ে উন্মাদনা চোখে পড়ার পাশাপাশি শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে
কৌতূহল বেড়েছে। যেহেতু ফারুকী রাজনৈতিক দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সংস্কৃতি ও বিনোদন
দুনিয়া দেখভাল করবেন, কাজেই দেশের শিল্পীদের প্রত্যাশা কেমন তা জানার চেষ্টা করতে ঢাকাই
চিত্রনায়িকা তমা মির্জার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতের একটি গণমাধ্যম। সেখানে উপদেষ্টা
ফারুকী প্রসঙ্গে বেশ আলোচনা করেন তিনি।
সাংস্কৃতিক
উপদেষ্টা ফারুকীকে অভিনন্দন জানিয়ে তমা বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিনোদন দুনিয়ার কোনও ব্যক্তি
যদি বিষয়টি বোঝেন, তা হলে তিনি যোগ দিতেই পারেন। সেই জায়গা থেকে ফারুকী ভাই উপযুক্ত
ব্যক্তি।’

সরকারের
কাছে ফারুকী তাদের ভাল-মন্দ তুলে ধরবেন বলেও আশা করেন অভিনেত্রী। তার ধারণা, এতে দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রির জন্যেও আসতে পারে সুখবর। কিন্তু ভিসা জটিলতায় ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের সমস্যার সমাধান রাখতে পারবেন কী না ফারুকী,
এমন প্রশ্নও রাখা হয় নায়িকাকে।
সমস্যার
বিষয়টি অস্বীকার করেননি অভিনেত্রী তমা মির্জা। এ প্রসঙ্গে তার
বক্তব্য, ‘ভিসা জটিলতায় আমি নিজেও ভুগছি। সব সময় কাজের
জন্যই যে পড়শি দেশে
যেতে হবে, এমন কথা নেই। পড়শি ভারতেও অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। ইচ্ছে করে, তারা আসুন বা আমরা তাদের
কাছে যাই। এই জায়গাটা অনেক
দিন ধরেই বন্ধ।’
তমা
এও জানান, যোগাযোগের এই মাধ্যমের যাবতীয়
জট কাটিয়ে যেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যাতে দুই বাংলার মানুষ আবার আগের মতো কাজের পাশাপাশি বন্ধুত্বের কারণেও দুই দেশে যাতায়াত করতে পারেন।