মর্নিং ওয়াকে যাওয়ার পর ঢাকাই চিত্রনায়ক ওমর সানির বাসায় চুরির ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় এবার ঘটেছে ফিল্মি স্টাইলে দুর্ধ্বর্ষ ডাকাতি। যদিও ডাকাতির সময় চিত্রনায়কের বাসায় কেউ ছিল না তাই কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
গণমাধ্যমকে ওমর সানি জানিয়েছেন গতকাল(১৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বাসায় এসে ঘটনা টের পান। ওমর সানি জানিয়েছেন, কাজশেষে গতকাল(১৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচ ব্লকের বাসায় ফিরছিলেন ওমর সানি। সে সময় স্ত্রী মৌসুমী, ছেলে ফারদিন এবং মেয়ে ফাইজা তিনজনের একজনও বাসায় ছিলেন না।
চিত্রনায়কের ভাষ্যে, ‘রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও আবার ভেতরে ছিল। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি।’
ওমর সানি বলেন, ‘তারা বাইরে থেকে বারান্দায় গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো। রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্ট, একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকার।’
নায়ক বলেন, ‘আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এরমধ্যে আমার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে।’
সানী আরও বলেন, ‘বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল, তা কিন্তু নিয়ে যায়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া। আমি সত্যিই হতবাক এমন ঘটনায়। বারবার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব! আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম!’
এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ওমর সানি।