ইউটিউবে একের
পর এক সব জনপ্রিয় ইংরেজি গান কাভার করে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন জেফার রহমান। নিজের
একক কিছু ইংরেজি গানও রয়েছে তার। এরপর প্রায় এক দশক পেরিয়ে গেছে। এরমধ্যে তার চুলের
স্টাইল ও ফ্যাশন নিয়ে হয়েছে বহু চর্চা। সময়ের পরিক্রমায় সেই স্টাইলও পাল্টেছেন এই তারকা।
এই এক দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। বিশেষ
করে তার ' ঝুমকা' গানটি বিয়েবাড়িতে না বাজালে যেন আনন্দ অপূর্ণ থেকে যায়। তবে সম্প্রতি
লাইভে এই গানটি পারফর্ম করে জেফার পড়েছেন বিপদে।
গত ১৬ ডিসেম্বর
বিজয় দিবসে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয় ‘সবার আগে বাংলাদেশ' কনসার্ট।
সেখানে ‘ঝুমকা' গানটি পরিবেশন করেন জেফার। সেই পারফর্মেন্স এর আংশিক কিছু ভিডিও সামাজিক
মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, সাউন্ডবক্সে ‘ঝুমুর' এর মূল গান চালিয়ে গানের তালে
তালে নাচছেন জেফার, তার সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন গায়িকা। এই ঘটনায় নানান বিরূপ প্রতিক্রিয়া
আসতে থাকে নেটিজেনদের কাছ থেকে।
এ বিষয়ে এক
নেটিজেন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে যদি কনসার্টে গানই শোনাতে
হয় তাহলে জেফারকে আনা হয়েছে শুধু নাচ দেখানোর জন্যই?’।
ভাইরাল সেই
ভিডিওটিতে জেফারকে খানিকটা বেসুরো গলায় গাইতে শোনা যায়। যদিও লাইভ পারফরমেন্সে এটি
হরহামেশাই ঘটে থাকে শিল্পীদের সঙ্গে। তবে এ ব্যাপারে আরেক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন,
‘অটো টিউন শিল্পীরা লাইভে এমনই গাইবে।'
একই ধরণের
মন্তব্য করে আরও একজনও লিখেছেন, ‘আমার জানা মতে লাইভ কনসার্টে অটো টিউন নাই তাই আর
কি ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে সাউন্ড দিয়েছে। কারণ বাস্তব গলা আর অটোটিউন পার্থক্যটা অনেক।’
যদিও এই কমেন্ট
দেখেই বোঝা যাচ্ছে একটা লাইভ কনসার্ট সম্পর্কে খুবই কম ধারণা রয়েছে তার।
উল্লেখ্য
জেফারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। তবে যাদের সঙ্গীত সম্পর্কে একটু জানা শোনা
রয়েছে তারা জানে জেফার যেই ঘরানার গান গেয়ে থাকেন সেটি লাইভে ঠিকঠাক পারফর্ম করার জন্য
অনেক উন্নত সাউন্ড সিস্টেম, মিউজিক্যাল ইকুইপমেন্টস এবং দক্ষ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন
হয়। আর তাছাড়া লাইভে সবসময় হুবহু একই ভাবে গান পরিবেশন করার উদ্দেশ্যে স্টেজে ওঠেন
না শিল্পীরা। দর্শক মাতাতে তারা নেচে গেয়ে নিজস্ব স্টাইলে পারফর্ম করেন।