দীর্ঘ ৮ বছরের আইনি লড়াই শেষে বিচ্ছেদ ঘটল হলিউডের পাওয়ার কাপল খ্যাত ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন এই জুটি; যার ফলে এই চূড়ান্ত বিচ্ছেদ।
জোলির আইনজীবী জেমস সাইমন জানান, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত বিবাহবিচ্ছেদে স্বাক্ষর করেছেন জোলি ও পিট। তবে পিটের আইনজীবী তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। খবর বিবিসির।
২০১৬ সালে দাম্পত্যজীবনের ইতি টানতে এর আগে বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় সামনে এনে বিচ্ছেদের জন্য মামলা দায়ের করেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। কারণ হিসেবে ‘অমিমাংসিত মতবিরোধের’ কথা জানিয়েছিলেন তারা। তাদের রয়েছে ৬ সন্তান। একসময় তাদের অভিভাবকত্ব কে নেবেন, এই নিয়ে তিক্ত লড়াই শুরু হয় জোলি ও পিটের। ২০২১ সালে আদালত তাদের সন্তানের যৌথ অভিভাবকত্বের সিদ্ধান্ত দেয়।
এফবিআইর কাছে জোলি অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট জেটে চড়ে সন্তানদের নিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন তাঁরা। ফেরার পথে জোলির সঙ্গে ব্র্যাড পিটের তর্ক হয়। একপর্যায়ে জোলিকে ধাক্কা দেন পিট, তাঁর মাথা ধরে ঝাঁকান। বাচ্চাদের ওপরও চড়াও হন। এক বাচ্চার গলা টিপে ধরেন, অন্যজনের মুখ চেপে ধরেন। এ ছাড়া জোলি ও সন্তানদের গায়ে মদ ছুড়ে মারেন পিট।
জোলির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই ও লস অ্যাঞ্জেলেস কান্ট্রি ডিপার্টমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসেস। একই বছরের নভেম্বরে এফবিআইর এক মুখপাত্র জানান, এ ঘটনায় পিটের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাননি তারা, ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না। এরপর ২০২২ সালে এ তদন্তের নথি খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন জোলি। অবশেষে এ বছরের সেপ্টেম্বরে এফবিআইর বিরুদ্ধে আদালতে করা অভিযোগটি তুলে নেন অভিনেত্রী।
এ ছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে জোলির নামে মামলা করেছিলেন পিট। আঙুর বাগান বিক্রির অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করেন তিনি। এ বিষয়ে জোলির ভাষ্য, ‘এটি একটি অর্থহীন, বিদ্বেষপরায়ণ এবং সমস্যাযুক্ত প্যাটার্নের অংশ।’
উল্লেখ্য, ভক্তদের কাছে ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ নামে পরিচিত এই দম্পতি ২০০৫ সালে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ সিনেমার সেটে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন, যেখানে তাদের সম্পর্কের শুরু হয় এবং পরে তা প্রেমে পরিণত হয়।