ছবিঃ সংগৃহীত।
ঢাকাই সিনেমার 'রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা' খ্যাত কিংবদন্তি বর্ষীয়ান নেতা গতকাল (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে প্রবীর মিত্রের মৃতুর খানিক বাদেই পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। কিছুক্ষণ আগে উনি ইন্তেকাল করেছেন। স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করুক।’
প্রবীর মিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাতে গোসল শেষে ফ্রিজার গাড়িতে প্রবীর মিত্রের লাশ ধানমন্ডির বাসায় রাখা হবে। আজ (৬ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর এফডিসিতে প্রথম জানাজা হবে। এরপর চ্যানেল আইতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রবীর মিত্র অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’ ইত্যাদি।
১৯৭১ সালে এইচ আকবরের ‘জলছবি’ সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু করেন প্রবীর মিত্র। এরপর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পর্দায় নায়ক চরিত্রে যেমন সফল হয়েছেন, তেমনি চরিত্রাভিনেতা হিসেবেও সমানভাবে আলো ছড়িয়েছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী এই অভিনেতা।
কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৮২ সালে মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান প্রবীর মিত্র। আর ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাঁকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh