অঞ্জন দত্ত
মৃণাল সেনের হাত ধরে ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রে আসেন। তার আগে থিয়েটারে কাজ করতেন, স্বপ্ন
ছিল বার্লিন যাবার। গিয়েছিলেনও। তবে মন টেকেনি বর্ষীয়ান এই এভারগ্রিন শিল্পীর। এরপর
তুমুল জনপ্রিয়তা পান গায়ক হিসেবে। তবে অভিনয় জীবনটা ছেড়ে দেননি কখনোই। শেষ বয়সে এসে
একের পর এক চলচ্চিত্র পরিচালনার পাসাপাশি অভিনয়টাও চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ওপার বাংলার
আরেক কিংবদন্তি অভিনেত্রী মৃণাল সেনের কন্যা অপর্ণা সেনের অভিনয় ও তাঁর সঙ্গে কাজের
অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অঞ্জন দত্ত।
চরিত্রকে
ধারণ করার বিষয়ে অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘আমি সব সময় যে চরিত্রে অভিনয় করি, সেই চরিত্রটা
হয়ে ওঠার চেষ্টা করি। অঞ্জন দত্ত থেকে বেরিয়ে এসে। আমি অনেক বেশি ছবি করার সুযোগ পাইনি।
কিন্তু মৃণাল সেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, গৌতম ঘোষ, অপর্ণা সেন, প্রতীম ডিগুপ্ত বা পরম—
এ রকম কিছু পরিচালক আছেন যারা আমার উপর ভরসা রেখেছেন।’
অপর্ণা সেনের
ক্যারিয়ারের শুরুর দিককার কথা শেয়ার করে অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘অপর্ণা সেন বাণিজ্যিক ছবিতে
অভিনয় করতেন। সেই সময়ে নায়িকাদের বেশিরভাগ ছবিতেই দেখা যেত প্যানপ্যান করে কাঁদতে।
এটাকে আমি ছোট করছি না।’
‘এটাই প্রচলিত
ছিল। অথচ তিনি যখন কমেডি করতেন তার সেই উইটটা চোখে পড়ত। বোঝা যেত তিনি ঠিক ন্যাকা
নায়িকা নন। এদিকে অপর্ণা সেনের সঙ্গে অভিনয় করতে পারার সুযোগ পাওয়াটাও বড় ব্যাপার
ছিল।’
তিনি আরও
বলেন, ‘ভালো অভিনেত্রী বলেই তিনি (অপর্ণা সেন) ভালো পরিচালক। যারা ভালো অভিনেত্রী হন
তারা খারাপ পরিচালনা করতেই পারেন না বলে আমার বিশ্বাস। এটা আমি নিজের ক্ষেত্রেও মনে
করি।’
নিজে বেশি
ভালো পরিচালক নন দাবি করে তিনি বলেন, ‘যদিও অনেকে বলেন আমি ভালো অভিনেতা, পরিচালক অতটা
ভালো নই। অথচ আমি প্রচুর নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে সুযোগ দিয়েছি। যারা কোনোদিন অভিনয়
করেননি যেমন সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক— এদের বিষয়টা আলাদা। কিন্তু আমি অন্তত
খুব খারাপ অভিনেতা অথচ দারুণ পরিচালক দেখিনি।’