বাংলাদেশের নারী শিল্পী এবং অভিনয়শিল্পীদের উপর সাম্প্রতিক সময়ে যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হচ্ছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে 'অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ' (দ্য অ্যাক্টরস ইক্যুইটি বাংলাদেশ)। এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যখন দেখা যায়, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের—মেহজাবিন চৌধুরী, পরী মনি এবং অপু বিশ্বাস—এর মতো শিল্পীরা শোরুম বা রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনের মতো ইভেন্টে অংশ নেয়ার সময় বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত অবস্থান গ্রহণ করা হয় গত শুক্রবার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভায়, যেখানে গিল্ড সদস্যদের সর্বসম্মত অনুমোদনে একটি বিবৃতি জারি করা হয়।
বিবৃতিতে তিনটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে: মেহজাবিন চৌধুরী চট্টগ্রামে বাধার সম্মুখীন হন, অপু বিশ্বাস কামরাঙ্গীরচরে অবরুদ্ধ হন এবং পরী মনি টাঙ্গাইলে সমস্যার সম্মুখীন হন। এসব ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ক্ষোভের ঝড় ওঠে, যেখানে অনেকেই এই অভিনেত্রীদের প্রতি হয়রানির নিন্দা করেছেন।
এছাড়া, গিল্ডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শুটিংয়ের সময়সূচী এবং বিদেশে যাওয়ার সময়ও অভিনেত্রীরা একই ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যদি কোনো অভিনেতা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, তবে তাকে দেশের আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রমাণসহ বিচার করা উচিত। তবে, অপ্রয়োজনীয় হয়রানি বন্ধ করা উচিত, কারণ এটি শিল্প এবং সংস্কৃতির স্বাধীন অনুশীলনকে বাধাগ্রস্ত করবে।”
গিল্ড আরও জানিয়েছে, এই ধরনের সীমাবদ্ধতা দেশীয় সাংস্কৃতিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং বিদেশী এবং নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারের জন্য সম্ভাব্য পথ সৃষ্টি করবে। তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি সমাধানের জন্য তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতির শেষে গিল্ডের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম এবং সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান বলেন, “এই মুহূর্তে, আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যহীন ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য কাজ করতে হবে এবং একটি গণতান্ত্রিক ও সংস্কৃতি-বান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”