বলিউড ভাইজান
সালমান খান, বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী তারকা, যাঁর খ্যাতি আকাশচুম্বী এবং সম্পত্তির পরিমাণও বিপুল। তবে এই খ্যাতি ও
প্রাচুর্যের বাইরে, অভিনেতা জীবনের একটি অংশে সাধারণ কয়েদির মতো জীবন কাটিয়েছেন জেলখানায়। সম্প্রতি তাঁর কারাবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন সালমান।
সম্প্রতি
ভাতিজা আরহান খানের পডকাস্ট শো "ডাম্ব বিরিয়ানি"-তে সালমান খান
তাঁর কারাবাসের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। সেখানে তিনি জানান যে কিভাবে তিনি
জেলে একজন সাধারণ কয়েদির জীবন যাপন করেছেন, যেখানে তার তারকা খ্যাতির কোনো মূল্য ছিল না।
কঠোর
পরিশ্রম ও নিয়মানুবর্তিতার গুরুত্ব নিয়ে
আলোচনা করতে গিয়ে সালমান বলেন, ঘুমের মতো সাধারণ প্রয়োজনকেও তিনি সাফল্যের পথে বাধা হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, ক্লান্তি সত্ত্বেও তিনি দিনে দেড় থেকে দুই ঘণ্টার বেশি ঘুমান না। এমনকি কাজের ফাঁকে পাঁচ মিনিটের বিরতি পেলেও তিনি চেয়ারে ঘুমিয়ে নেন। তবে জেলের দিনগুলোতে তিনি প্রচুর ঘুমাতেন, কারণ সেখানে তার করার মতো কিছুই ছিল না।
সালমান
জানান, কাজ ও পরিবারের প্রতি
তাঁর দায়িত্ববোধ অত্যন্ত প্রবল। বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এবং কাজের জন্য তিনি সবসময়ই সচেষ্ট ছিলেন।
প্রসঙ্গত,
১৯৯৮ সালে "হাম সাথ সাথ হ্যায়" ছবির শুটিং চলাকালীন যোধপুরে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগে সালমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় তাঁকে
কয়েকদিন জেলহাজতে কাটাতে হয়। এরপর ২০০৬ সালে একটি আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এমনকি ২০১৮ সালে আরেকটি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
তবে
জামিন পাওয়ার আগে তাঁকে বেশ কয়েকদিন জেলখানায় কাটাতে হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি হিট অ্যান্ড রান মামলা অনেকদিন ধরে ঝুলে আছে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিটলিস্টেও রয়েছেন সালমান। কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণকে পূজা করে।