বলিউড
অভিনেত্রী এবং বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতকে নিয়ে আলোচনা থামছেই না। সম্প্রতি তার অভিনীত এবং পরিচালিত সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি' মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ছিল এবং মুক্তির পরেও সে রেশ অব্যাহত
রয়েছে। বক্স অফিসে সিনেমাটি ভালো অবস্থান করতে পারেনি, তবে সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং শুরু হওয়ার পর এটি প্রশংসা
পাচ্ছে। ভারতে নেটফ্লিক্সে সিনেমাটি টপে রয়েছে।
সোশ্যাল
মিডিয়াতে দারুণ সক্রিয় কঙ্গনা গতকাল (১৬ মার্চ) তার
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ‘ইমার্জেন্সি’-এর প্রশংসা করা
একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লেখেন, “‘ইমার্জেন্সি’ অস্কারের জন্য যোগ্য, কঙ্গনা, কী অসাধারণ সিনেমা।”
কঙ্গনা সেই পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, "আমেরিকানরা তাদের আসল মুখ দেখতে চায় না, যেভাবে তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শোষণ, দমন এবং ব্ল্যাকমেইল করে। এই বিষয়গুলো ‘ইমার্জেন্সি'
র মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আমেরিকানরা হাস্যকর অস্কার নিয়ে থাকুক, কারণ আমাদের কাছে রয়েছে জাতীয় পুরস্কার।"
কঙ্গনার
এই পোস্টের পর তাকে নিয়ে
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এভাবে কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়, আর কিছু নেটিজেন
মনে করছেন যে, আলোচনায় থাকতে কঙ্গনা এমন মন্তব্য করেছেন।
'ইমার্জেন্সি'
সিনেমায় কঙ্গনা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বিজেপির সংসদ সদস্য কঙ্গনা কংগ্রেসের নেত্রী ইন্দিরাকে কোন রূপে তুলে ধরতে চাইছেন, তা নিয়ে কৌতূহল
ছিল। সিনেমার পটভূমি ১৯৭০ সালের দশক, যখন ভারতে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে
পরবর্তী ২১ মাস ভারতে
জরুরি অবস্থা চলেছিল, এবং সিনেমায় সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
এই
সিনেমায় কঙ্গনার পাশাপাশি অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তালপাড়ে, বিষক নায়ার, সতীশ কৌশিকসহ একাধিক অভিনয়শিল্পী কাজ করেছেন।
প্রসঙ্গত,
কঙ্গনা ইতোমধ্যে চারবার ভারতের জাতীয় পুরস্কার পেয়ে আছেন। প্রথম জাতীয় পুরস্কার তিনি পান ২০০৯ সালে ‘ফ্যাশন’ সিনেমার জন্য। এরপর ‘কুইন’ (২০১৩), ‘তানু ওয়েডস মনু রিটার্নস’ (২০১৫), এবং ‘মানিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ (২০১৯)
সিনেমায় সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন।