প্রতিবছরের মতো এবারও পয়লা বৈশাখে বর্ণাঢ্য আয়োজন আর আনন্দঘন পরিবেশে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে দেশবাসী। পুরোনো বছরের গ্লানি ভুলে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় গোটা দেশজুড়ে চলছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর উদযাপন।
এবারের বর্ষবরণের মূল প্রতিপাদ্য ছিল—“নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান”। এই বার্তাকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, কৃষক, রিকশাচালক, নারী ফুটবলার এবং ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যসহ সমাজের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রায় ছিল সাতটি বড়, সাতটি মাঝারি ও সাতটি ছোট—মোট ২১টি শিল্পমাধ্যমভিত্তিক মোটিফ। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’, ‘মুগ্ধর পানির বোতল’, শান্তির প্রতীক পায়রা, মাছ, বাঘসহ গ্রামীণ জীবনের প্রতিফলনমূলক শিল্পকর্ম। এছাড়াও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ব্যবহৃত হয় ফিলিস্তিনি পতাকা ও তরমুজের প্রতীকী ফালি।
এই উৎসবের এক বিশেষ মুহূর্ত তৈরি হয় যখন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেজ-এর সদস্য শেখ মনিরুল আলম টিপুসহ বিভিন্ন ব্যান্ডশিল্পী সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাস্তায় নেমে ‘ফিরিয়ে দাও’ গান পরিবেশন করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, র্যালির মাঝে শিল্পীরা গিটার হাতে গাইছেন গানটি—তাদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন সাধারণ মানুষও। সামাজিক মাধ্যমে এই দৃশ্য ইতোমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে। নেটিজেনদের মতে, “এই সংযোজন ছিল শোভাযাত্রার প্রাণ। দেখতেও ভালো লেগেছে, শুনতেও হয়েছে গভীর।”