বিদেশি
রাষ্ট্রদূতদের ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। আজ (১৭ এপ্রিল) সকালে
তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক মাসুম মিয়া মেঘনাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন মেঘনাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক
প্রসিকিউটর তার গ্রেফতার সমর্থনে শুনানি করেন। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
একই
মামলায় অভিযুক্ত তার কথিত সহযোগী দেওয়ান শমীরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর
আগে, ৯ এপ্রিল রাতে
মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখানো হয় ডিটেনশন (বিশেষ
ক্ষমতা) আইনে। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো নিয়মিত মামলা না থাকা সত্ত্বেও
এমন পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা
ও সমালোচনা।
আইন
বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ১৩ এপ্রিল, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল
মন্তব্য করেন, “বিশেষ ক্ষমতা আইনে যেভাবে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়েছে, তা যথাযথ হয়নি।”
তবে তিনি এটিও জানান যে, মেঘনার বিরুদ্ধে কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
এই
বিতর্কের মধ্যে গত ১৩ এপ্রিল
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার অপসারণ নিয়েও পুলিশের ভূমিকা এবং মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।