ঢাকাই
সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি বরাবরই তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের
খুঁটিনাটি শেয়ার করে থাকেন সামাজিক মাধ্যমে। কাজের প্রতি তার নিষ্ঠা এবং আবেগ ভক্তদের বরাবরই মুগ্ধ করে। অভিনয়ের বাইরে মা হিসেবে সন্তানকে
সময় দেওয়া, নিজের দৈনন্দিন রুটিন—সব কিছুতেই পরীমণির
আলাদা একটা আন্তরিকতা আছে।
এবার
তিনি জানালেন, দীর্ঘদিন পর রাত জেগে
স্ক্রিপ্ট পড়েছেন তিনি। একদিকে সন্তানকে রাত জাগার অভ্যাস থেকে ফেরানো, অন্যদিকে শুটিংয়ের প্রস্তুতি—দুয়ের সমন্বয়ে দিন কাটছে তার। এরই মাঝে হঠাৎ এক রাতে শুয়ে
শুয়ে মনে পড়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি মিটিংয়ের কথা। আর তারপরই শুরু
হয় গভীর রাতের স্ক্রিপ্টে ডুবে যাওয়া।
আজ (২২ এপ্রিল)
ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ নিজের
ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব
অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন পরীমণি।
তিনি
লেখেন, অনেক দিন পর রাত জেগে
স্ক্রিপ্ট পড়লাম!
পরীমণি
জানান, ঘুরতে গিয়ে বাচ্চাদের ঘুমের রুটিন ঠিক করতে গিয়ে নিজেও গত কয়েক রাত
৯টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ছিলেন। তবে হঠাৎ মনে পড়ে যাওয়া এক মিটিংয়ের কথা
তাকে ফিরিয়ে আনে পেশাগত জগতে।
-68075b4fd9127.png)
স্ট্যাটাসে
তিনি লেখেন, আজকেও তা-ই করতে
যাচ্ছিলাম। শুয়ে শুয়ে মনে হলো একটা সিনোপসিস পড়তে হবে তো। কালকেই ওটার মিটিং তাদের। তারপর আর কি, পরতে
বসলাম।
তবে
শুধু সিনোপসিসেই থেমে থাকেননি এই অভিনেত্রী। মাত্র
৩-৫ মিনিটে পড়া
শেষ হওয়ার পর ঘুমাতে গেলেও,
মনের অস্থিরতা তাকে আবার স্ক্রিপ্টের কাছে ফিরিয়ে আনে।
তিনি
আরও লেখেন, চোখ বন্ধ করলাম আর মনের মধ্যে
কেমন একটা হাঁস-ফাস হাঁস-ফাস করতে লাগল। বুঝলাম, পুরো স্ক্রিপ্ট না পড়লে আর
হচ্ছে না এখন।
অবশেষে
পুরো স্ক্রিপ্ট পড়ে শেষ করেন তিনি, যা এতটাই প্রভাব
ফেলেছে যে, পরবর্তী দুটো স্ক্রিপ্টও পড়ে ফেলেন মাথা থেকে ওই গল্প বের
করতে।
স্ট্যাটাসের
শেষে খানিকটা ক্লান্তির সুরে লেখেন, 'এখন চোখ ব্যাথা করতেছে।'
তার
এই খোলামেলা অনুভূতির প্রকাশ, রাত জেগে কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সৃজনশীলতায় ডুবে থাকার প্রকাশ ইতোমধ্যেই নেটিজেনদের দৃষ্টি কেড়েছে। এরমধ্যে এক নেটিজেন নেতিবাচক
কমেন্ট করেন। তিনি লেখেন, 'এ মনে হয় ঘুমাই নাই, এইসব করে রাতে পোস্ট করে।'
এমন মন্তব্যের
পাল্টা জবাবে কড়া কথা শুনিয়ে দিতে দেরি করেননি পরী। তিনি লেখেন, 'আপনি কি করতেছেন বলেন
তো! আমি তো কাজ করলাম আর আপনি আকাইম্মা মার্কা একটা কমেন্ট করে ধন্য হয়ে গেলেন। গেট
আ লাইফ। দোয়া আপনার জন্য।' সঙ্গে জুড়ে দেন একটি ভালবাসার ইমোজি।