জনপ্রিয়
মডেল ও অভিনেত্রী কাজী
নওশাবা আহমেদের অভিনয়জীবনের শুরু হয়েছিল অনেক সম্ভাবনা নিয়ে। নাটক, টেলিফিল্ম, বিজ্ঞাপনচিত্র ছাড়াও সিনেমায় অভিনয় করে তিনি দর্শকের নজর কাড়েন। এক সাক্ষাৎকারে নিজের
শিল্পীসত্তা, সংস্কৃতিচর্চা এবং ব্যক্তিগত উপলব্ধি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন এই অভিনেত্রী।
নওশাবা
বলেন, যেকোনো পারফরমেন্স, যেকোনো আর্ট ফর্মেই আমাকে গভীরভাবে আন্দোলিত করে এবং আনন্দ দেয়। প্রত্যেকটি মানুষই আসলে একজন শিল্পী। আমি যখন দেখি কেউ স্টেজে, পথনাটকে কিংবা সিনেমার পর্দায় নিজের প্রকাশ ঘটায়, তখন মনে হয় সেই প্রকাশটাই
সবচেয়ে জরুরি।
তিনি
মনে করেন, এই সময়ে বাংলাদেশে
সংস্কৃতির চর্চা যত বেশি হবে,
আমাদের জাতি তত দ্রুত এগিয়ে
যাবে—মানসিকভাবেও। আমরা জুলাই আন্দোলনে যে যন্ত্রণা আর
প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেছি, সেটার প্রভাব এখনো অনেকের মধ্যে আছে।
নওশাবা
বলেন, প্রত্যেকটি মানুষের ভেতরে এখন একধরনের অনিশ্চয়তা, আস্থাহীনতা ও ট্রমা কাজ
করছে। এর থেকে উত্তরণের
একমাত্র পথ হলো—নাচ,
গান, নাটক, ফ্যাশন শো, কবিতা লেখা কিংবা গান সৃষ্টি। যত বেশি সৃষ্টিশীল
কাজ হবে, ততই জাতি তার আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।
নিজের
অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি চারুকলায় পড়েছি, পেইন্টিংয়ে মাস্টার্স করেছি। এরপর এত বছর ধরে
অভিনয় করছি, থিয়েটার আর পাপেটের কাজ
করছি। আমার ব্যক্তিগত জীবনে যতবার আমি ভেঙে পড়েছি, উঠেও দাঁড়িয়েছি এই শিল্পের শক্তিতেই।
আন্তরিক
কণ্ঠে নওশাবা বলেন, আমার আর্টিস্টিক সত্তা আর সংস্কৃতির চর্চা
যখন বড় পরিসরে দলগতভাবে
ঘটে, তখন সেটা একেবারে তীর্থস্থান হয়ে ওঠে। আমার কাছে সেই জায়গাটা হলো—শিল্পকলা স্টেজ।