সাম্প্রতিক
সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব হয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বিশেষ
করে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই বিভিন্ন
সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে
নিজের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরছেন তিনি। যার ফলে কখনো প্রশংসিত হয়েছেন, আবার কখনো হয়েছেন সমালোচিত। তবে বাঁধনকে দেখে মনে হয়, এসবের কোনো কিছুতেই তিনি বিচলিত নন—চলছেন নিজস্ব
পথেই।
সম্প্রতি
নারীর অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসে আবারও প্রতিবাদী কণ্ঠে সরব হয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি, কিন্তু আমি সেখানে মরতে রাজি নই।
আমি
এমন পৃথিবী দেখতে চাই না, যেখানে অধিকার নির্ধারিত হবে ক্ষমতার ভিত্তিতে, আর স্বাধীনতা হবে
শর্তসাপেক্ষ।
-681779246a348.png)
আমি
এমন ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি, যেখানে প্রতিটি মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে, থাকবে নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা—যা কেড়ে নেওয়ার
অধিকার কারো নেই।
এই
স্ট্যাটাসে তার কণ্ঠে স্পষ্ট প্রতিবাদ, স্পষ্ট আত্মবিশ্বাস। এ নিয়ে বাঁধন
বলেন, এটা কোনো হঠাৎ উপলব্ধি নয়, বরং বহুদিনের লালিত ভাবনা। তিনি জানান, এমন এক পরিবারেই তিনি
বড় হয়েছেন যেখানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার প্রভাব ছিল প্রবল, এবং তার বাবাও সেই কাঠামোরই অংশ ছিলেন।
এর
আগেও, ব্যক্তিস্বাধীনতা নিয়ে আরেকটি স্ট্যাটাসে বাঁধন লিখেছিলেন, আমি এখানে কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি। আমার জীবন, আমার নিয়ম—আমি কী করব, কীভাবে
বাঁচব, আর কী হব,
তা একমাত্র আমিই ঠিক করি। আমার পথ আমি নিজেই
বেছে নিই, আমার সিদ্ধান্ত আমার নিজের। কারও অনুমতি, প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই আমার। আমি শুনি যখন চাই, করি যখন মন চায়, আর
যে যা-ই বলুক,
নিজের অবস্থানে অটল থাকি। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? কখনও না, কোনোদিন না।