এক সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সরব ছিলেন, আবার কিছু সময় ছিলেন নীরব। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন এবার ফের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে সরব হয়েছেন। সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা মত প্রকাশ করছেন এই অভিনেত্রী।
রোববার (১ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে বাঁধন দাবি করেন, তিনি ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের কারচুপি ও দুর্নীতির ‘সাক্ষী’ ছিলেন—এমনকি ‘এর অংশও’ ছিলেন বলে স্বীকার করেন।
বাঁধন লিখেছেন, “আমি চাই না, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আবারও সেই একই রাজনৈতিক কৌশল দেখতে হোক। আমি নিজে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের দুর্নীতি ও কারসাজির সাক্ষী ছিলাম। সত্যি বলতে, এর অংশও ছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “কারণ আমি তখন প্রচারণায় যুক্ত ছিলাম এবং গত সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম। ফলে, আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হতো এবং এই সিস্টেম কীভাবে আপস করতো। ক্ষমতাসীন দল কিভাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, যা ছিল অত্যন্ত অনৈতিক ও অন্যায্য। এটি জনগণের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে এবং আমাদের ভবিষ্যতের উপর একটি স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।”
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাঁধন লেখেন, “এইবার আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধের উপর ভিত্তি করে সরকার একটি ভিন্ন পথ বেছে নেবে। একটি সত্যিকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন শুধু জনগণের দাবি নয়—এটি একটি শক্তিশালী উপহার, যা বাংলাদেশের মানুষকে দিতে পারে এ সরকার।”
তার বক্তব্যের শেষাংশে তিনি লেখেন, “আমরা স্বচ্ছতা প্রাপ্য। আমরা জবাবদিহিতা প্রাপ্য। আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ প্রাপ্য, যা সত্য দিয়ে গঠিত, কারসাজি দিয়ে নয়।”
সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বক্তব্য ইতোমধ্যেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ একে ‘সাহসী স্বীকারোক্তি’ হিসেবে দেখছেন, কেউবা ‘দায় এড়ানোর কৌশল’ বলেও ব্যাখ্যা করছেন।