× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

‘সিনেপ্লেক্স থেকে পাইরেসি হয় না; সুমন আনোয়ার

বিনোদন ডেস্ক।

১৭ জুন ২০২৫, ১১:১৮ এএম

ছবি:সংগৃহীত।

জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা সুমন আনোয়ার। অসংখ্য দর্শকপ্রিয় টেলিভিশন নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি। ‘রাতারগুল’, ‘কালাগুল’ ও ‘গুলবাহার’ নামে ট্রিলজিও নির্মাণ করেছেন। নির্মাণের পাশাপাশি অভিনয়েও মেধার প্রমাণ রেখেছেন।

এবার ঈদের ছবি ‘তাণ্ডব‘ ও ‘টগর’-এ অভিনয় করেছেন। পাচ্ছেন বরাবরের মতোই প্রশংসা। অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম।

 

ঢাকার মানুষ সুমন আনোয়ার।

ফলে ঈদ উৎসবে ঝাঁক ধরে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়ে নেই তিনি। জানালেন, ধানমণ্ডির বাসায় পরিবারের সঙ্গেই কেটেছে তাঁর ঈদ। কিন্তু অবকাশে কোথাও যাননি? শোবিজের মানুষজন সাধারণত ঈদ মৌসুমে বেড়াতে যান। কাজ থেকে কিছুটা ফুরসত মেলে কি না তাই! সুমন জানান, তিনি ঈদের দুই-তিন দিন আগেই ফিরেছিলেন আউটডোর শুটিং থেকে।

সেটাই ছিল এক ধরনের ভ্রমণ। ফলে বাড়তি করে আর ঈদে কোথাও যাননি।


নিজ ঢঙে উজ্জ্বল 

‘তাণ্ডব’ ও ‘টগর’-এ অভিনয় করে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন সুমন। বিশেষ করে ‘টগর’ নিয়ে মিলছে প্রশংসার ফুলঝুড়ি। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, তাঁর অভিনয়ের জোরেই ছবিটি শেষ অব্দি এগিয়েছে।সুমন বলেন, ‘প্রতিক্রিয়া তো ভালো পাচ্ছি। কয়েক বছর ধরেই আমাদের ঈদের ছবিগুলো ভালো চলছে। একটা বিষয় দেখুন, দেশের মানুষ ক্রিকেটের পাগল। সেই ক্রিকেট নিয়ে দেশের বৃহত্তম আয়োজন বিপিএল। সেটাতে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১২ কোটি টাকার। অন্যদিকে রোজার ঈদে সিনেমার টিকিট বিক্রি হয়েছে কোট-আনকোট ৭০-৮০ কোটি টাকার। সুতরাং চলচ্চিত্রের বাজারটা কত বড়, তা সবার বোঝা উচিত।’

চান দর্শকের মূল্যায়ন

‘তাণ্ডব’-এ সুমন অভিনয় করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তার ভূমিকায়। আর ‘টগর’-এ আছেন দ্বৈত চরিত্রে। দুটি চরিত্র নিয়ে নিজের মূল্যায়ন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মূল্যায়নের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো দর্শকের মূল্যায়ন। আমি তো নিজেকে শাহরুখ খান বলব! বরং দর্শক কী বলছেন, সেটা সামনে আসা দরকার। আগের ছবিগুলোতে কেমন অভিনয় করেছি, এবার চরিত্র অনুযায়ী কেমন করেছি, এসবের বিশ্লেষণ দরকার। তাহলে আমিও একটা চ্যালেঞ্জ অনুভব করব। সামনের কাজগুলো নিয়ে আরো মনোযোগী হব।’

পাইরেসির বিরুদ্ধে সোচ্চার

রোজার ঈদ ধরে দেশের চলচ্চিত্রে ফের পাইরেসির হানা। ‘তাণ্ডব’ এরই মধ্যে এইচডি প্রিন্টে ছড়িয়ে গেছে অন্তর্জালে। এ বিষয়ে সোচ্চার অবস্থান সুমন আনোয়ারের। তাঁর মতে, এখন ছবি নিয়ে প্রতিক্রিয়া কিংবা গল্প-চরিত্র নিয়ে আলাপের চেয়েও জরুরি পাইরেসি নিয়ে কথা বলা। সুমন বলেন, ‘আমাদের একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, এবার পাঁচ-ছয়টি ছবি মিলে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে। কিন্তু সেদিকে এগোতেই পারল না। তার মানে সর্ষের মধ্যে ভূত আছে। সেই ভূত তাড়ানোর জন্য সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে। একদম এক থেকে এক হাজার নম্বর, সবাইকেই সরব হতে হবে। কেউ মাঠে নেমে প্রতিবাদ করবে, আর কেউ এক নম্বর বলে চুপচাপ বসে থাকবে, তাহলে হবে না। দেখুন, অনেকে বলছে, পাইরেসি হলেও সমস্যা নেই। প্রেক্ষাগৃহে গিয়েই ছবি দেখব। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পাইরেসি হচ্ছে কেন? এখনো মান্ধাতার আমলের সফটওয়্যার দিয়ে চলছে আমাদের ছবি প্রদর্শনী। অথচ বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রি বিশাল। ১০টা মানুষ একত্র হয়ে বসলেই কিন্তু বিষয়টার সমাধান সম্ভব। আমি যতদূর জানি, সিনেপ্লেক্সে ছবি দেখানো হয় ডিসিপি থেকে। সেখান থেকে পাইরেসি হয় না। সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকেই হচ্ছে। একটা আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করলেই হয়। এটা তো রকেট সায়েন্স না। সহজ বিষয়টিকে কঠিন বানিয়ে রাখা হয়েছে।’

কাজ চলমান, বলা বারণ

অভিনয়ের ব্যস্ততা লেগেই আছে সুমন আনোয়ারের। নতুন কিছু করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘আমি যে ধরনের কাজ করি, সেগুলোতে নির্মাতা-প্রযোজকদের বড় বিনিয়োগ থাকে, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। ফলে চাইলেও আমি সেসব কাজের কথা বলতে পারি না। সময় হলে তারাই ঢাকঢোল পিটিয়ে জানাবেন।’ কিছু দিন আগে মুক্তি পেয়েছে তাঁর নির্মিত ওয়েব ছবি ‘মির্জা’। নির্মাণে নতুন কী করছেন, সেটাও স্পষ্ট না করে জানালেন, প্রতিনিয়ত লেখালেখি ও নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েই তাঁর ব্যস্ততা। যুতসই পর্যায়ে এলে তবেই খোলাসা করবেন। 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.