মাত্র ৪২ বছর বয়সে হঠাৎ ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুর খবরে হতবাক হয়ে গিয়েছেন ভক্তরা। বলিউডে এখনো এই শোক কাটেনি। তারমধ্যে এই তারকার মৃত্যু নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন খবর সামনে আসছে।
জানা গেছে, শেফালি জরিওয়ালা গত ৫-৬ বছর ধরে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ভিটামিন সি এবং গ্লুটাথিয়ন ব্যবহার করে কসমেটিক চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, যা ত্বক উজ্জ্বল এবং ডিটক্সের জন্য পরিচিত।
চিকিৎসকরা বলছেন যে এই চিকিৎসাগুলি কসমেটিক এবং সরাসরি হৃদপিণ্ডের উপর প্রভাব ফেলে না। ময়নাতদন্ত এবং ফরেনসিক রিপোর্টের পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা হবে।
তার আগে প্রাথমিক তদন্তের পর প্রশাসনের অনুমান, সম্ভবত রক্তচাপের কারণে আকস্মিক মৃত্যু অভিনেত্রীর। শেফালির রক্তচাপ নাকি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তার ফলে হয়তো হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তিনি।
অভিনেত্রীর মৃত্যু-রহস্য উদঘাটন করতে শেফালির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন একদল ফরেন্সিক অফিসার, আম্বোলি থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্য এবং আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তারা।
সেখান থেকে উঠে এসেছে কিছু তথ্য। মৃত্যুর দিন, অর্থাৎ শুক্রবার শেফালির বাড়িতে সত্যনারায়ণ পুজো হয়েছিল। যে কারণে সকাল থেকে কিছুই খাননি তিনি। আনুমানিক বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপোস ছিলেন। শেফালির বাড়ির রাঁধুনি জানান, পুজো শেষ হলে প্রয়াত অভিনেত্রী ফ্রিজ থেকে সামান্য কিছু খেয়েছিলেন। পুজো উপলক্ষে এ দিন তার বাড়িতে লোকজনের আনাগোনা ছিলই। অভিনেতা পরশ ছাবড়াসহ অনেক জনপ্রিয় মুখ এ দিন শেফালি-পরাগ ত্যাগীর বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিলেন। ফলে, বিশ্রাম নেওয়ারও ফুরসত পাননি অভিনেত্রী।
রাত তখন সাড়ে দশটা। পরিবারের প্রত্যেকের দাবি, ওই সময় সকলের সামনে শেফালি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন তার স্বামী। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা যায়, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু ঘটে তার।
স্বামী পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে হোলি উৎসবের দিন শেফালি এই জবানবন্দি থেকেই আম্বোলি থানার পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, উপোসের ফলে হয়তো রক্তচাপ কমে গিয়েছিল শেফালির। যা তার হৃদ্রোগের কারণ হতে পারে। প্রশাসন শেফালির মা-বাবা, স্বামীসহ মোট ১০ জনের জবানবন্দি নিয়েছিল। পাশাপাশি, বয়স কমানোর জন্য দীর্ঘ দিন ধরে ওষুধ, ইঞ্জেকশনও নিচ্ছিলেন শেফালি। তারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।