প্রতি অর্থবছরে চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সিনেমা নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। সে ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২টি চলচ্চিত্র।
অনুদান ঘোষণার পর অনেক শিল্পী, নির্মাতারাই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন। তাদের মতে, বরাবরই মূল ধারার সিনেমাগুলো সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়।
এই বিষয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন চিত্রনায়ক নিরবও। তিনি নিজেও পর্যবেক্ষণ করেছেন যে সরকারি অনুদানে মূল ধারার সিনেমাগুলো উপেক্ষিত থাকে।
নিরবের মতে, একদম সহজভাবে যদি বলি, এখন বছরে দুই ঈদকে ঘিরে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি একদম চাঙ্গা থাকে, দর্শকরাও হলে আসেন, সিনেমা দেখেন। এই সময়টাতেই সিনেমা নিয়ে আলোচনাও হয় বেশি।
এ ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় যেসব সিনেমা মুক্তি পায় সেগুলোর বেশির ভাগ সম্পর্কে দর্শকরাই জানে না। এখন ঈদে যেসব মূল ধারার সিনেমাগুলো মুক্তি পায় সেগুলোও যদি বন্ধ হয়ে যায় দেখা যাবে দর্শক বলতেই পারবে না যে, ওই বছরে কী সিনেমা মুক্তি পেয়েছে!
প্রসঙ্গের রেশ টেনে নিরব আরো বললেন, সে জন্য এ ধরনের সিনেমাগুলোতে অনুদান দেওয়া প্রয়োজন যেন শুধু ঈদই নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও ছবিগুলো মুক্তি দিতে পারে। বিকল্প ধারার সিনেমাগুলো অনুদান পায় ঠিকই কিন্তু সেগুলো ঠিকঠাকভাবে মুক্তিই তো পায় না। তাই যে ধরনের ছবি দর্শক দেখতে চায়, অর্থাৎ মূলধারার সেসব সিনেমা অনুদান পেলে ইন্ডাস্ট্রির জন্যই ভালো হবে।
এরপর এই নায়ক বললেন, গতকাল থেকে দেখছি সিনেমাসংশ্লিষ্ট অনেকে এ বিষয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করছেন। যাদের অনুদান দেওয়া হয় বিগত ১৫ বছর খুঁজে দেখলে অনুদানের সিনেমাগুলোর ঠিকঠাক হদিস নাই। আমার কথা হচ্ছে, অনুদান দেওয়ার পর এক মাস পরপর খবর নেওয়া উচিত। তদারকি করা উচিত। আরেকটা বিষয়, এই সিনেমাগুলোর মুক্তির ক্ষেত্রে বড় পরিসরে মুক্তি যেন পায় সেদিকও খেয়াল করা উচিত।
‘ফিরে দেখা’ ও ‘ছায়াবৃক্ষ’ শিরোনামে দুটি অনুদানের সিনেমাতেও নিরব অভিনয় করেছেন। তবে সে অভিজ্ঞতা ভালো নয় বলেই জানালেন তিনি।
বললেন, আমিও অনুদানের সিনেমায় কাজ করেছি। অভিজ্ঞতা যে অনেক বেশি ভালো সেটা বলবো না। যারা অনুদান কমিটিতে থাকেন সেখানে বিকল্পধারার সিনেমা মানুষরা বেশি থাকেন। আমি বলতে চাই, শুধু বিকল্প ধারা নয়, ওই কমিটিতে মূলধারার অভিজ্ঞদের রাখা উচিত।
প্রসঙ্গত, নিরব অভিনীত ‘শিরোনাম’ নামে একটি ছবি নির্মাণাধীন রয়েছে। চলতি মাসে কানাডা থেকে ফিরে শেষ লটের শুটিং করবেন তিনি। এরপর শুরু করবেন আরেক ছবি ‘গোলাপ’র শুটিং।