সালমান খানের হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। প্রথম দিকের ছবি দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি কেবলই এক সুন্দর মুখ, অভিনয়ের চেয়ে সৌন্দর্য প্রদর্শনই বোধ হয় তার কাজ।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সেই ধারণা। নিজেকে পরিণত করে একের পর এক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। ফলে ৪২ বছরে পা রাখা ক্যাটরিনা এখন বলিউডের সফল অভিনেত্রী এবং ব্যবসায়ী।
পরিবারের আর্থিক হাল ধরতে বহিরাগত হিসেবেই বলিউডে আসেন ক্যাটরিনা। অক্ষয় কুমারের বিপরীতে ‘নমস্তে লন্ডন’ ছবি থেকে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিতে শুরু করেন।
এরপর ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ‘রাজনীতি’, ‘এক থা টাইগার’, ‘মেরি ক্রিসমাস’-এর মতো হিট ছবি উপহার দেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবেও নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন এই তারকা।
২০১৮ সালে ক্যাটরিনা একটি রিটেল সংস্থায় ২.০৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, যা ২০২১ সালে গিয়ে দাঁড়ায় ২২ কোটি টাকায়। নিজের প্রসাধন ব্র্যান্ডের ব্যবসা শুরু করে কয়েক বছরের মধ্যেই ২৪০ কোটি টাকার বাজারমূল্য তৈরি করেছেন তিনি।
ক্যাটরিনা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকেই প্রসাধনী পণ্যের প্রতি তার আলাদা আকর্ষণ ছিল। তাই নিজের ব্র্যান্ডের সব পণ্য নিজেই তৈরি করতে পছন্দ করেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনেও সম্পদের দিক থেকে সমৃদ্ধ ক্যাটরিনা। মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে ১৭ কোটি টাকার একটি বিলাসবহুল দোতলা ফ্ল্যাট রয়েছে তার, যেখানে ভিকি কৌশলের সঙ্গে বিয়ের আগে থাকতেন তিনি।
লন্ডনে রয়েছে ৭.২ কোটি টাকার একটি বাড়ি। বর্তমানে ভিকির সঙ্গে মুম্বাইয়ের জুহুর একটি ফ্ল্যাটে থাকছেন তিনি। গাড়ির সম্ভারেও কম নয় তার সংগ্রহ। ২.৩৭ কোটি টাকার দামি গাড়িও রয়েছে অভিনেত্রীর।
সব মিলিয়ে বর্তমানে ক্যাটরিনা কাইফের মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে তার অভিনয়ের পারিশ্রমিক, ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট এবং প্রসাধনী ব্যবসার আয়।
বলিউডে সুন্দর মুখের বাইরে গিয়ে ক্যাটরিনা প্রমাণ করেছেন, ব্যবসায়িক বুদ্ধি এবং পরিশ্রম থাকলে বহিরাগত হয়েও মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করা সম্ভব। ৪২-এ দাঁড়িয়ে ক্যাটরিনা এখন বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেত্রী ও সফল ব্যবসায়ী।