বলিউডের দুই তারকা অভিষেক বচ্চন-কারিশমা কাপুরের সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হছে। বিশেষ করে কারিশমার সাবেক স্বামী সঞ্জয় কাপুর মারা যাওয়ার পর।
২০০২ সালে ‘হ্যা ম্যায়নে ভি প্যায়ার কিয়া হ্যায়’ ছবিতে দুজন একসঙ্গে কাজ করেছিলেন, সে সময় তাদের মধ্যে সব ঠিকঠাক ছিল। পরের বছরই দুজনের বিচ্ছেদ হয়। দুজনের বাগ্দান হয়েছিল বলেও খবর পাওয়া যায়।
এবার নির্মাতা ও প্রযোজক সুনীল দর্শন ইঙ্গিত দিলেন, স্বেচ্ছায় নয়, পরিবারের চাপে আলাদা হয়ে গেছেন দুজন।
কারিশমার পরিবারকে খুব কাছ থেকে চেনেন সুনীল দর্শন। ভিকি লালওয়ানির সঙ্গে কথোপকথনে এই পরিচালক বলেন, ‘নিয়তি কাপুর বোনদের জীবনে অনেক অশান্তি নিয়ে এসেছে। অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদ তেমন কিছুই ছিল।’
সুনীল দর্শন জানান, কারিনা ও কারিশমা মায়ের ভালোবাসায় বড় হয়েছেন। ক্যারিয়ারেও সহযোগিতা পেয়েছিলেন তিনি।
সুনীলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিষেক বচ্চন ও কারিশমার মধ্যকার রসায়ন নিয়ে। তিনি বলেন, ‘ছবিতে তাদের রসায়নে দেখানো হয়েছে, তাদের বাস্তব জীবনেও বন্ধন ছিল।’
সুনীল দর্শন আরও জানান, দুজনের বিচ্ছেদ তাদের ইচ্ছায় হয়নি। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় তার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে ঝামেলা হতো, যার কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেত। আমার মনে হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। আমি কারিনা ও কারিশমা—দুজনকেই ভালোভাবে জানি। সব সময়ই চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকতে।’
২০০০ সালের দিকে অভিষেক বচ্চন ও কারিশমা কাপুরের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।
২০০২ সালে অমিতাভ বচ্চনের ৬০তম জন্মদিনে এক অনুষ্ঠানে জয়া বচ্চন কারিশমাকে তার বাড়ির পুত্রবধূ হিসেবে ঘোষণা করেন। শোনা যাচ্ছে, দুজনের বাগ্দান হয়েছিল। এ ঘটনার তিন মাস পর তাদের বিচ্ছেদের খবর আসে।
গুঞ্জন ছিল, কারিশমার মা ববিতা চাননি মেয়ে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করুক। যার কারণে দুজনই অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের সম্পর্ক ভেঙে দেন।