স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখা তারকাদের নিয়ে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ৪র্থ ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অনুষ্ঠান। শুক্রবার, ২৫ জুলাই রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন অডিটোরিয়ামে ময়ূরপঙ্খী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং ময়ূরপঙ্খী ইন্টারন্যাশনালের ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আপেল মাহমুদ (গেস্ট অব অনার),
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ কামরুল ইসলাম,
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাহী,
ডন বসকো স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল লস্কর নাহার,
বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীর,
টিআইবির সদস্য জাহিদ আহমেদ,
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল নূর।
অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী ও সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ময়ূরপঙ্খীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রুহিত সুমন।
অনুষ্ঠান সম্পর্কে রুহিত সুমন বলেন:
“মিডিয়া ও সামাজিক অঙ্গনের গুণীদের নিয়ে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’-এ সহযোগিতাকারী সকল স্পন্সর, পার্টনার ও সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি ময়ূরপঙ্খীর সামনের ইভেন্টগুলোতেও সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই সম্মানিত অতিথি, শিল্পী, কলাকুশলী, সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী ও দর্শকদের – যাদের উপস্থিতি আমাদের অনুষ্ঠানকে সত্যিকার অর্থেই আলোকিত করেছে।”
অনুষ্ঠানের অন্যতম আলোচিত অংশ ছিল অভিনেতা ফারহান খান-এর "শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য" পুরস্কার লাভ। তিনি এই সম্মাননা পান অনন্য মামুন পরিচালিত প্রশংসিত চলচ্চিত্র দরদ-এ তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের জন্য। এই পুরস্কারটি তার আগের অর্জনগুলোর ধারাবাহিকতা, যার মধ্যে রয়েছে:
AJFB অ্যাওয়ার্ড ২০২৪
BIFA অ্যাওয়ার্ড ২০২২
ওয়ালটন পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯
ছবিঃ পুরষ্কার হাতে "ফারহান খান"
পুরস্কার গ্রহণের পর ফারহান খান অনুষ্ঠানে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তার নতুন সিনেমা “শের”-এর ঘোষণা দেন, যা তার ভক্ত ও মিডিয়ার মাঝে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে।
এছাড়াও সাংবাদিকতার অসামান্য অবদানের জন্য এনটিভির পরিচালক আলহাজ্ব নুরুদ্দিন আহমেদ-কে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিহতদের স্মরণে উৎসর্গ করা হয়, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে।