শাকিব খান ও শবনম বুবলীর যুক্তরাষ্ট্রে কাটানো মুহূর্তের ছবি ছড়ড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এই নিয়ে কম কথা হচ্ছে না। শাকিব বুবলী এক হয়ে গেছেন, অপু বিশ্বাসের কী হবে? এমন প্রশ্নে সামাজিক মাধ্যম সয়লাব। অপু বিশ্বাস এ বিষয়ে কেন কথা বলছেন না, এই নিয়েও সামাজিক মাধ্যমে উৎকণ্ঠা। ছবি প্রকাশের পর মুখ বন্ধই রেখেছিলেন বুবলী। তবে এবার মুখ খুলেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী।

এদিকে, শাকিব খান ও শবনম বুবলীর যুক্তরাষ্ট্রে কাটানো মুহূর্তের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। নিজের অনুভূতি তুলে ধরে এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে তিনি শাকিব, বুবলী ও তাদের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনা জানিয়েছেন। এতে চয়নিকা বলেন, ‘শাকিব খান, শবনম বুবলী, শেহজাদ খান বীর, অনেক অনেক অভিনন্দন। এই বন্ধু দিবসে এই ছবি গুলো দেখে আনন্দে চোখে জল এলো। কী যে ভালো লাগলো।
তিনি আরও লিখেছেন, কিছু সম্পর্কের টান এমনই হয় সময়, দূরত্ব, নীরবতা কিছুই তা থামিয়ে রাখতে পারে না। তারা হয়তো দুইটা মুখ, কিন্তু গল্পটা সবসময়ই একটাই ছিল তারা দুজনেই শেহজাদ খান বীরের মা এবং বাবা। এটাই বড় সত্য আর সুন্দর।
চয়নিকা বলেন, শাকিব-বুবলীর সম্পর্ক নতুনভাবে ফিরে আসেনি, বরং এটি আরও বেশি শান্ত, পরিণত ও আপন হয়ে উঠেছে। তার ভাষায়, কখনো কখনো জীবনে ফিরে আসাটাই সবচেয়ে সাহসী কাজ। আর একবার যখন দুইটি আত্মা একসঙ্গে মিশে যায়, তখন সেটাকে আর 'ফিরে আসা' বলা যায় না ওটা হয় চিরস্থায়ী হয়ে ওঠা। ভালোবাসার মেলবন্ধন।
এই নির্মাতা বলেন, শুভ কামনা তোমাদের জন্য স্পেশালি আমাদের বীরের জন্যে। একজন বাবা এবং তার মা মিলে তাকে অনেক সুন্দর স্মৃতি দিলেন। জীবনটা তো অনেক অনিশ্চিত। তাই এই ভালো লাগা থেকে যাবে ছোট্ট বীরের মনের গহীনে। চয়নিকা মনে করছেন শাকিব বুবলী এক হয়ে গেছেন। এমনটাই জানিয়ে লিখেছেন, এবার আর কোনও রেখা নয়, শুধু অনন্ত মেলবন্ধন। অনেক অনেক অভিনন্দন তোমাদের। অনেক প্রার্থনা। সদা থাকো আনন্দে, সংসারে, নির্ভয়ে।
চয়নিকার এমন পোস্টে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন বুবলী। ছবি প্রকাশের পর প্রথম মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী। চয়নিকার এই পোস্টের কমেন্টবক্সে লিখেছেন, ‘আপুনি, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তুমি এত সুন্দর করে লিখো কিভাবে? অনেক ভালোবাসার একজন মানুষ আপনি। সবসময় দোয়া ও ভালোবাসা।