ইসরায়েলি অভিনেত্রী গাল গাদত সম্প্রতি ডিজনির লাইভ-অ্যাকশন সিনেমা ‘স্নো হোয়াইট’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাবকে দায়ী করে বিতর্কে জড়ান। তবে পরে তিনি নিজের বক্তব্যে স্পষ্টতা এনে বলেন, একটি চলচ্চিত্রের সাফল্য বা ব্যর্থতার পেছনে থাকে অনেকগুলো কারণ।
গত সপ্তাহে একটি ইসরায়েলি টক শো’তে গাদোত বলেন, তিনি শুরুতে ভেবেছিলেন চলচ্চিত্রটি বড় সফলতা পাবে। কিন্তু ২০২৩ ৭ অক্টোবর সালে হামাসের আক্রমণ এবং গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
তিনি বলেন, ‘হলিউডসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে এমনটা অনেক সময় ঘটে। তারকাদের উপর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলার চাপ থাকে।’
গাদতের মতে, ‘আমি সবসময় পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি, এবং তাই করেছি। কিন্তু শেষমেশ মানুষ তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়। ছবিটি এসব বিষয়ের কারণে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে বলে আমি হতাশ হয়েছি। এটি বক্স অফিসেও ভালো করেনি।’
তবে পরে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তার মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে গাল গাদত ইনস্টাগ্রামে ব্যাখ্যা দিয়ে লেখেন, ‘অনেক সময় আমরা আবেগপ্রবণভাবে প্রশ্নের উত্তর দিই। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সময় যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে- তারা আমাকে একজন অভিনেত্রী হিসেবে নয়, বরং একজন ইসরায়েলি হিসেবে দেখে সমালোচনা করেছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘নিশ্চিতভাবে ছবিটি শুধু বাইরের চাপের কারণে ব্যর্থ হয়নি। একটি চলচ্চিত্র সফল না ব্যর্থ হবে, তা নির্ধারণ করে অনেকগুলো বিষয়। আর সাফল্য কখনোই নিশ্চিত নয়।’
ডিজনির প্রযোজিত এই ‘স্নো হোয়াইট’-এর ব্যয় ছিল প্রায় ২৬৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আয় করে মাত্র ২০৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। মার্কেটিং খরচসহ বিভিন্ন ব্যয় বিবেচনায় ধরে ডিজনি প্রায় ১১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে ফোর্বস।
উল্লেখ্য, গাল গাদোতের সহ-অভিনেত্রী র্যাচেল জেগলার চলচ্চিত্রের ট্রেলার শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লিখে পোস্ট করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। এতে প্রযোজক মার্ক প্ল্যাট নিউ ইয়র্কে গিয়ে জেগলারের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করেন বলেও জানা যায়।