গ্রন্থিক নাট্যগোষ্ঠীর ১০ম প্রযোজনা মতিউর রহমান রানা রচিত ও নির্দেশিত “গগণে গর্জিছে” নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নাট্যশালার মূল মঞ্চে আগামী শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় নাটকটি প্রর্দশিত হবে।
গগনে গর্জিছে নাটকের নাট্যকার ও নির্দেশক মতিউর রহমান রানা বলেন,স্বার্থেরও বিবেক থাকা দরকার। এই বিবেকহীন কর্মই সরকার তথা সামাজিক পট পরিবর্তন এর মূল কারন। নাটক সমাজের দর্পণ। দর্পণে যেমন নিজের চেহারা প্রতিফলিত হয় তেমনি নাটকের মাধ্যমেও সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটের সামগ্রিক অবস্থা পরিলক্ষিত হয়ে উঠে। তাইতো চলমান যাপিত জীবন, জীবনের ঘাত প্রতিঘাত, হাসি, কান্না, দুঃখ বেদনার বাস্তবায়নই “গগণে গর্জিছে” নাটকের উপজিব্য বিষয়।
নেশা একটা সামাজিক মরন ব্যাধি। যার সংক্রমণ আজ খুবই ভয়াবহ। যার বিস্তার শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম অবধি বিস্তৃত। ছাপোষা কেরানি রাফাত সাহেবের মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে, এক মেয়ের সংসারের হাল ধরেন তার নিষ্ঠাবান স্ত্রী কোহিনুর বেগম। সুন্দর ও পরিমার্জিত সুখী সংসার। বড় ছেলে সাগর মেধাবী উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু বেকার। মেঝো ছেলে সজল ভার্সিটিতে পড়ে। সে বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত। একমাত্র মেয়ে সীমা সেও ভার্সিটির মেধাবী শিক্ষার্থী। এক সময় এই সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবারটিও নেশার ছোবলে অবক্ষয়ের জাতাকলে পিষ্ঠ্য হয়। মেধাবী শিক্ষার্থী বড় ছেলে নেশায় আসক্ত হয়ে পরে। ফলে সুন্দর সংসারে নেমে আসে দুঃখের অমানিশা। নাটকের প্রাসংগিকতায় আরও কিছু চরিত্র যারা এই সমাজেই বিচরনরত মানুষ। কেরামত খাঁ এই সমাজের মুখোশ আটা একজন ভন্ড, মাদক ব্যবসায়ি।তাকে ঘিরেই তার কন্যা নীলা, নয়ন, চয়ন,নেতা, সোহাগী ও পিংকিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেরর উদ্ভাবন হয়েছে। অভিনব কায়দায় গোয়েন্দা জালে ফেঁসে যায় মাধক ব্যবসায়ী কেরামত খাঁ।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- মাসুম, নাসরিন সুলতানা, মো: মাসুদুর রহমান, টুটুল আহমেদ রুদ্র, আজমেরী আজমি জ্যোতি, কামরুল আহসান চন্দন, আরিয়ান আবির, অ্যাডভোকেট দেওয়ান হুমায়ুন কবীর রিপন, তানিশা ইসলাম সানা, মানিক শাহ, মজিবর রহমান ও জান্নাত।