১০ বছর পর দুর্গাপূজায় মুক্তি পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সিনেমা। নতুন সিনেমা মুক্তি উপলক্ষে আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিনেমা, ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
শ্রাবন্তীর নতুন সিনেমা ‘দেবী চৌধুরাণী’। তার মধ্যে কি একজন ‘দেবী চৌধুরাণী’ আছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে শ্রাবন্তী বলেন, ‘কমবেশি সবার মধ্যে আছে “দেবী চৌধুরাণী”র গুণ। পরিস্থিতিতে পড়লে যে কেউ এই রূপ নিতে পারে। জন্মানোর পরেই কি আমরা লড়াই শিখে যাই? পরিস্থিতি আমাদের শেখায়।’
দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় জিতের বিপরীতে ‘চ্যাম্পিয়ন’ সিনেমার নায়িকা হয়েছিলেন শ্রাবন্তী। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহুবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। কীভাবে সামলেছেন?
শ্রাবন্তী বলেন, ‘না, এখন আর গায়ে মাখি না। আর আমার মনে হয়, ছোট বয়সে মা হওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন ঝিনুক হওয়ার পাঁচ বছর পরে আবার আমি কাজে ফিরি। তখন আমার মাত্র ২১ বছর বয়স। তবে এটা সত্যি, ১৬ বছরটা মা হওয়ার জন্য খুবই কম বয়স। ওটা বাড়াবাড়ি।’
শ্রাবন্তী জানান, সিনেমায় অভিনয়ের আগে চিত্রনাট্য নিয়ে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। তার ভাষ্যে, “দেবী চৌধুরাণী”র চিত্রনাট্য যখন এসেছিল, সবার প্রথমে ওকে আমি শুনিয়েছিলাম। বেশ অবাকই হয়েছিল। আসলে আমরা মা-ছেলের থেকে বেশি বন্ধু। মাত্র তো ১৬ বছরের পার্থক্য! ছেলের বন্ধুরা তো আমারই বন্ধু! দু–একজন ছাড়া আর কেউ ‘আন্টি’ বলে না। আমি ওদের সবার দিদি।’
সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী কথা বলেন জেন-জিদের প্রসঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘ছেলে এবং ওর বন্ধুদের সঙ্গে মিশি তো। তাই লিঙ্গসাম্য নিয়ে ওদের সচেতনতা, ওদের ভাষা সহজেই বুঝতে পারি। আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এত বাড়বাড়ন্ত তো ছিল না। কত পোর্টাল তৈরি হয়েছে, যা পারে তা–ই লিখে দেয়।
তাই নতুনদের বলতে চাই, প্রথম কাজ ভালো না হলে পরেরটা যাতে ভালো হয়, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। অন্য কোনো কিছু নিয়ে মন খারাপ যেন না করে।’