হিরো আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারা হয়েছে বলে জানালেন স্ত্রী রিয়া মনি। মঙ্গলুবার দুপুরে রিয়া মনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হিরো আলমকে যেভাবে মারা হয়েছে, তাকে মেরেই ফেলা হতো। সেসময় কিছু লোক উপস্থিত হওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেছে। তাকে যেভাবে পেটানো হয়েছে, আরেকটু হলেই মারা যেত।’
সোমবার রাতে রাজধানীর আফতাব নগরে হিরো আলমকে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদিকে রাত সোয়া ১০টার দিকে হিরো আলমের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, ‘আফতাবনগরে হিরো আলমের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
তবে রিয়া মনি কালের কণ্ঠকে জানান, সরকারি হাসপাতাল থেকে রেফার করার ফলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাড্ডা থানার আফতাবনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাস্থল নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। এখনও সঠিক স্পট সম্পর্কে তথ্য পাইনি।’
তবে রিয়া মনি কালের কণ্ঠকে বললেন, ‘হিরো আলম গতকাল রাতে হাঁটতে গিয়েছিল আফতাব নগরে। হাঁটতে হাঁটতে সে লোহার ব্রিজের দিকে যায়। পরে এম ব্লকে তাকে ধরে নিয়ে ইচ্ছেমতো মারা হয়। তাঁর দুই হাতে কোপানো হয়েছে। মাথা ফাটানো হয়েছে।
বুকের মধ্যে আঘাত করা হয়েছে।’
কারা মেরেছেন এ বিষয়ে এখনো জানেন না রিয়া মনি। তিনি বলেন, ‘আসলে কারা মেরেছে হিরো আলমকে বুঝতে পারছি না। নিশ্চয়ই পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে মারা হয়েছে। এভাবে কেউ কাউকে এমনি মারে না। নিশ্চয়ই তাকে মেরে ফেলার জন্যই এভাবে মারা হয়েছে। এর দ্রুত বিচার চাই আমরা।’
তবে ফেসবুক লাইভে রিয়া মনি ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজনৈতিক কারণেই হিরো আলমকে এভাবে মারা হয়েছে। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘কেন তাঁর ওপর হামলা করা হবে? আমরা কোন দেশে বসবাস করতেছি? সে তো রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছে। রাজনীতি আমি নিজেও পছন্দ করি না। তাহলে এই হামলার মানেটা কী?’
গতরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন হিরো আলম। তার মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তার পরনের টি-শার্ট ছেঁড়া অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়া ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি মিলে আহত হিরো আলমকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলছেন। তার মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে।