উপস্থাপনা দিয়ে মিডিয়া অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন এলিনা শাম্মী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে। ছোটো পর্দা থেকে বড়ো পর্দা— দুই মাধ্যমেই অভিনয় করছেন সমান দক্ষতায়।
আরশাদ আদনান প্রযোজিত ও হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ চলচ্চিত্রে শাকিব খানের ভাবির চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পান তিনি। এরপর ‘দরদ’ সিনেমায় পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার ভূমিকায়ও নজর কাড়েন দর্শকের।
সম্প্রতি সংবাদ সারাবেলা’র সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এলিনা শাম্মী কথা বলেছেন তাঁর অভিনয় যাত্রা, নারী চরিত্রে চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে ইচ্ছে এবং দর্শকদের জন্য তাঁর বার্তা নিয়ে।
অভিনয়ের শুরু কীভাবে হয়েছিল?
“আমি তো উপস্থাপক,” বললেন এলিনা শাম্মী।
“২০১১ সালে দেশ টিভির ‘দূরপাঠ’ নামের লাইভ অনুষ্ঠান দিয়ে উপস্থাপনা শুরু করি। উপস্থাপনার সময় অনেক পরিচালক ও শিল্পীর সঙ্গে পরিচয় হতো। একদিন পরিচালক শাহ-আলমের সঙ্গে দেখা হয়, তিনি ‘একাত্তরের মা জননী’ চলচ্চিত্রে আমাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। আমি রাজি হয়ে অডিশন দিই, এবং নির্বাচিত হই। সেই চলচ্চিত্র দিয়েই আমার সিনেমা জীবন শুরু।”
নারী চরিত্রে অভিনয় কতটা চ্যালেঞ্জিং মনে হয়?
"আমি নারী তাই বিভিন্ন  নারী চরিত্রেই তো কাজ করবো", জানান তিনি। “তবে আমি সবসময় চেষ্টা করি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে। প্রতিটি চরিত্রের মানসিকতা আলাদা— সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। একজন নারী শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিবার নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পারাটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় দিক।”
আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে কাজ করার ইচ্ছে আছে কি?
“আমি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘দরদ’-এ কাজ করেছি। এটাকেই আন্তর্জাতিক কাজের সূচনা বলা যায়। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে। ভাগ্যে থাকলে নিশ্চয়ই সুযোগ আসবে।”
দর্শক ও ভক্তদের জন্য আপনার বার্তা কী?
“দর্শক ও ভক্তদের বলব— রুচিসম্পন্ন ও মানসম্মত কাজ দেখুন। ইউটিউবে অনেক নিম্নমানের কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে, এতে ভালো কাজগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। দর্শক ভালো কাজের পাশে থাকলে, আমরাও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাই।”