× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

অফিসিয়াল বিবৃতি দিলেন মেহজাবীন চৌধুরী

বিনোদন ডেস্ক।

১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৪ এএম

ছবি: সংগহীত।

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জারি করা হয়ছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ব্যবসায়িক পার্টনার করার নামে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় অভিনেত্রী ও তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি। জামিন পাওয়ার পর একটি বিবৃতি দিয়েছেন মেহজাবীন.

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল ফেসবুকে একটি দীর্ঘ বিবৃতি দেন তিনি।

প্রকাশিত সেই বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘একজন অজানা ব্যক্তি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আমার ও আমার ১৯ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু গত নয় মাসে আমি এই মামলার কোনো তথ্য পাইনি, কারণ অভিযোগকারী ব্যক্তি পুলিশকে আমার সঠিক ফোন নম্বর, সঠিক ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্য দিতে পারেননি।

তিনি দাবি করেন যে, ২০১৬ সাল থেকে তিনি আমার সঙ্গে ব্যবসা করছিলেন; কিন্তু কোনো যোগাযোগের প্রমাণ নেই।‘

অভিনেত্রীর কথায়, তিনি বলেন যে তিনি ২০১৬ সাল থেকে আমাকে ফেসবুকে মেসেজ দিতেন। কিন্তু তিনি দেখাতে পারেননি, একটি মেসেজ যেটা তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন, হোয়াটসঅ্যাপ বা আমার নাম্বার, কিংবা আমার পক্ষ থেকে একটি উত্তর, এমনকি একটি স্ক্রিনশটও না। তার পরিচয় অসম্পূর্ণ, তার সম্পূর্ণ পরিচয়পত্র এখনো জমা দেওয়া হয়নি। এমনকি তার এনআইডি পর্যন্ত অনুপস্থিত। এদিকে অভিযোগকারী ও তার আইনজীবী ফোন বন্ধ করে রেখেছেন গতকাল খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে।

মেহজাবীন আরও লিখেছেন, আর্থিক লেনদেনের কোনো প্রমাণ নেই কিন্তু তিনি দাবি করেন যে, তিনি আমাকে ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন। তবে তিনি দেখাতে পারেননি, কোনো ব্যাংক লেনদেন, কোনো চেক, বিকাশ লেনদেন, কোনো লিখিত চুক্তি, কোনো রসিদ, কোনো সাক্ষী কিছুই না। একটি কাগজপত্রও নেই।

এরই মাঝে ওই ব্যাক্তি দাবি করেন যে, ১১ ফেব্রুয়ারি আমি তাকে চোখ বেঁধে হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিলাম, আমার ছোট ভাইসহ আরও ৪-৫ জনকে নিয়ে।

কিন্তু গত নয় মাসে তিনি দেখাতে পারেননি রেস্টুরেন্ট বা আশপাশের রাস্তার এক সেকেন্ডেরও সিসিটিভি ফুটেজ, কোনো সাক্ষী, কোনো প্রমাণ।

অভিনেত্রী কথায়, ‘হাতিরঝিল ঢাকার সবচেয়ে বেশি সিসিটিভি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা তবুও তিনি একটি ছবি বা ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেননি। এই নয় মাসে আমি পাইনি কোনো পুলিশ স্টেশনের ফোন কল, কোনো কোর্টের নোটিশ বা ডকুমেন্ট। একটি নোটিশ পেলেও আমি অনেক আগে থেকেই আইনি ব্যবস্থা নিতাম।‘

মেহজাবীন বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই মামলার কোনো ভিত্তি না থাকলেও, যখন জানতে পারলাম যে একটি অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে, তখন আমি আইনি প্রক্রিয়া মেনে জামিন নিয়েছি কারণ আমি আমাদের আইন ও নিয়ম মানি।

তার কথায়, প্রমাণ ছাড়া দায়ের করা মামলা কখনো সত্য হয়ে যায় না। সত্য খুব দ্রুতই আদালতে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখনকার দিনে কাউকে অপমান করা, মানহানি করা বা ভাইরাল হওয়ার জন্য অন্যকে ব্যবহার করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। এই ব্যক্তির যে উদ্দেশ্যই থাকুক, আমার বা আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করে সে যা-ই করতে চায়, আমি বিশ্বাস করি সবকিছু খুব দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এর আগে পর্যন্ত আমি সবাইকে অনুরোধ করব—দয়া করে সহানুভূতিশীল হোন, দয়া করে মানবিক হোন, এবং কাউকে না জেনে কোনো মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করবেন না।

সবশেষে মেহজাবীন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমি আমার কাজ, আমার পেশা এবং আমার দর্শকদের জন্য যে পরিমাণ পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা দিয়ে এসেছি, সেই পরিশ্রমের পরও আজ আমাকে এসব ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে—এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.