ছবি: সংবাদ সারাবেলা।
বাংলাদেশি মিডিয়ায় অল্প সময়েই নিজের একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করে নিয়েছেন তরুণ মডেল ও অভিনেত্রী জেনিফার জুঁই। ধীরে, কিন্তু দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলা এই শিল্পী পড়ালেখার পাশাপাশি অভিনয়ের জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমানে নিরলস পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও স্বাভাবিক অভিনয়গুণের মাধ্যমে। তার অভিনয়ে গ্রামবাংলার সহজ-সরলতা যেমন ধরা পড়ে, তেমনি থাকে চরিত্রের ভেতরের গভীর অনুভূতি।
জেনিফার জুইঁ'য়ের মিডিয়ায় পথচলা শুরু হয় ২০২৩ সালে, একটি জনপ্রিয় ‘ম্যাঙ্গো ড্রিংকস’–এর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। তবে প্রথম বিজ্ঞাপনেই তার সামনে আসে বড় এক চ্যালেঞ্জ। মিডিয়ায় কাজ করাকে সহজভাবে নিতে পারেনি পরিবার। পরিবারের আপত্তি ও বাধার মুখে পড়েন সেই সময় তিনি অভিনয় থেকে দুই বছরের বিরতি নিতে বাধ্য হন। স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতার কাছে তখন কিছুটা নীরব হয়ে যান জুঁই।
কিন্তু স্বপ্নকে কখনো পুরোপুরি বিদায় জানাননি তিনি। দীর্ঘ দুই বছরের বিরতির পর পরিবারকে বোঝাতে সক্ষম হন নিজের লক্ষ্য ও অবস্থান পরিবারের সম্মতি ও মানসিক সমর্থন নিয়ে আবারও মিডিয়ায় ফিরে আসেন জেনিফার জুঁই—আর এই প্রত্যাবর্তনই বদলে দেয় তার ক্যারিয়ারের গতিপথ।
মিডিয়ায় ফেরার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নাটক ও ধারাবাহিকে নিয়মিত কাজের সুযোগ পান তিনি। এরইমধ্যে ৩০ এর অধিক ধারাবাহিক, নাটকে কাজ করেছেন যা একজন নবীন শিল্পীর জন্য নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। প্রতিটি কাজে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা তাকে এগিয়ে নিচ্ছে পরবর্তী ধাপে।
নাটকের পাশাপাশি জুঁই অভিনয় করেছেন একাধিক মিউজিক ভিডিওতে, যেগুলো দর্শকমহলে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও ওয়েব প্ল্যাটফর্মেও তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে বিশেষভাবে আলোচিত ভিকি জাহিদ পরিচালিত ‘রেড রুম’, যা তার ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত। পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন একক নাটক *সহ আরও কিছু ধারাবাহিকে এসব কাজের সাফল্যের পর থেকেই মিডিয়াপাড়ায় তাকে নিয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে।
গ্রাম থেকে উঠে আসা সহজ–সরল মেয়েটি এখন দেশের অনেক গুণী নির্মাতা ও শিল্পীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। একসময় যে পরিবার তার মিডিয়ায় কাজ করাকে মেনে নিতে পারেনি, আজ তারাই 'জেনিফার জুইঁ'য়ের সবচেয়ে বড় শক্তি ও অনুপ্রেরণা।
শিক্ষাজীবন নিয়েও সচেতন এই অভিনেত্রী। তার ইচ্ছা গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে ভবিষ্যতে বড়পর্দায় কাজ করা। নিজেকে শুধু অভিনয়েই নয়, ব্যক্তিগত ও শিক্ষাগতভাবেও গড়ে তুলতে চান তিনি।
ব্যক্তিগত স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে জেনিফার জুঁই জানান, মিডিয়ায় না এলে তার স্বপ্ন ছিল ব্যাংকার হওয়ার। তবে অভিনয়ের প্রতি গভীর ভালোবাসাই তাকে বারবার টেনে এনেছে ক্যামেরার সামনে। ভবিষ্যতে নিজেকে একটি স্থিতিশীল ও প্রতিষ্ঠিত অবস্থানে নিতে পারলে তিনি সমাজে পিছিয়ে পড়া তরুণীদের গরিব দুঃখী অসহায় বঞ্চিত বাচ্চাদের বেকারত্ব পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করতে চান, সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের কর্মস্থল করে দিতে চান। তারা সাহস নিয়ে আত্মসম্মান বজায় রেখে বাঁচতে পারে।
অভিনয়ে নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে তিনি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন, যা তার পথচলার অনুপ্রেরণা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জেনিফার জুঁই'য়ের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন—একজন দক্ষ ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হিসেবে দর্শকের মনে স্থায়ী জায়গা করে নেওয়া। পাশাপাশি তার আরেকটি স্বপ্ন হলো, নিজের জীবনের গল্প নিয়ে কোনো নাটক বা ওয়েব সিরিজ নির্মিত হবে, যেখানে তিনি নিজেই নিজের চরিত্রে অভিনয় করবেন।
পরিশ্রম, বিরতি, আবার ফিরে আসা—এই পুরো যাত্রাপথে জেনিফার জুৃঁই প্রমাণ করে চলেছেন, স্বপ্ন যদি সত্যি হয়, বাধা কোন বিষয় নয়। ঘুরে দাঁড়ানো আবার সম্ভব। আর সেই প্রত্যাবর্তনের গল্পই তাকে বাংলাদেশি মিডিয়ার একজন সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী হিসেবে আলাদা করে চিনিয়ে দিচ্ছে সকলের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে মিডিয়ায় নিজের একটা জায়গা করে নিতে চান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
