চিকিৎসা খাতে জনবল বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থাপনা হয়ে গেছে অনেক, যন্ত্রপাতি অনেক; কিন্তু পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স নেই। যন্ত্রপাতি অনেক, কিন্তু মেরামত হয় না। অসংক্রামক রোগ আর জনবলের দিকে আমরা নজর দিয়েছি।’
আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও নবনির্মিত আইসিইউ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ডায়রিয়া-কলেরা যে হারে হতো এখন আর সেভাবে হয় না। কিন্তু টিবি এখনও যথেষ্ট রয়েছে বাংলাদেশে। প্রতি বছরই প্রায় ৩ লাখ মানুষ শনাক্ত হয়। এটা কিন্তু অনেক। ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের টিবি কমিয়ে আনতে হবে। সম্পূর্ণ নির্মূল করতে না পারলেও এসডিজি অর্জনে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। আমরা বিগত সময়ে জানতে পেরেছি যে বছরে ৭০ হাজার লোক মারা যায়। এখন সেটা কমে ২৯ হাজার হয়েছে। এটাও আমাদের কমিয়ে আনতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও অসংক্রামক রোগে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যায়। শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে তামাক বা ধূমপান। আমাদের দেশে এখন অনেক লোক ধূমপায়ী। আবার অনেকে পানের সঙ্গে তামাক খায়। তার জন্য নানা ধরনের ক্যানসার হয়। কাজেই আমাদের অনেক ভালোভাবে চিকিৎসা দিতে হবে। চিকিৎসা দিতেও তো প্রতিষ্ঠানের দরকার। প্রতিষ্ঠান, লোকবল ছাড়া চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না।’
মন্ত্রী জানান, ৮টি বিভাগে ক্যানসার ও কিডনি হাসপাতালের কাজ চলছে। পদ সৃষ্টি আর পদোন্নতির কথা আপনারা বলছেন। এদিকে যথাযথ নজর দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মু. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।